রূপান্তরকামীদের উল্লেখ পুরাণেও ছিল

0
30
transgender

কলকাতাঃ দুর্গা পুজো উপলক্ষে চলতি বছরে ১০ হাজার টাকা অনুদান বাড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রায় ৪৩ হাজার ক্লাব পেয়েছে সেই অনুদানের টাকা। বাংলার দুর্গা পুজোয় হেরিটেজ তকমা ও অতিমারির দু-বছর পর দুর্গা পুজো। স্বাভাবিকভাবে উচ্ছ্বাস ছিল অনেকটাই বেশি। কিন্তু অনুদান হোক বা কার্নিভাল। গত ৫ বছর ধরে নিজেদের পুজো নিজেরাই করে আসছেন রূপান্তরকামীরা (transgender)। অভিযোগ, তাঁরা না পেয়েছেন রাজ্য সরকারের অনুদান। না পেয়েছেন কার্নিভালে যোগ দেওয়ার আবেদন। তাই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে ধর্না কর্মসূচি রুপান্তরকামীদের।

সমাজ তাঁদের একটু অন্য চোখে দেখে। তাতে কি ? লোকচক্ষুর আড়ালে থাকতে চান না তাঁরা। সমাজে যে তাঁদেরও জায়গা আছে, তা মনে করাতে চান। সে কথা জানাতে চান মুখ্যমন্ত্রীকেও। এক রুপান্তরকামীর দাবি, ”নেতা-মন্ত্রীদের বড় বড় ক্লাব সরকারি অনুদান পাচ্ছে। অথচ আমাদের মতো সংখ্যালঘুদেরই তো সরকারি সাহায্য বেশি দরকার। কিন্তু আমরা কখনও পাই না।” তাঁর আরও প্রশ্ন, ”যাদের অনেক অনেক টাকা আছে, তাদের কেন আরও টাকা দেয় সরকার? তবে দুর্গা পুজো নয়, অর্ধনারীশ্বরের পুজো করেন রুপান্তরকামীরা। অর্ধনারীশ্বরও শক্তির একটি রূপ। যে শিব, সে-ই পার্বতী। মুকুন্দপুরে তাঁদের ঘরে পুজো হয় অর্ধনারীশ্বরের। এই পুজোর মধ্যে দিয়ে সচেতনতার প্রচারও চলে। এই রূপের পুজো আর কোথাও হয় না।

- Advertisement -

এই পুজোর মধ্যে দিয়ে তাঁরা বোঝাতে চান, রূপান্তরকামীরা (transgender) হঠাৎ কোথাও থেকে চলে আসেননি। পুরাণেও ছিলেন তাঁরা। না হলে ভগবানের এমন রূপ কোথা থেকে আসল? রূপান্তরকামীরা যে সমাজেরই অংশ, তা অনেকেই ভুলে যান। কিন্তু পাশে না দাঁড়ালেই যে সকলের চোখের আড়ালে চলে যাবেন তাঁরা, তা তো নয়! রূপান্তরকামীদের লাঞ্ছনার কথা অনেক সময়েই খবরে উঠে আসে। সমাজে তাঁদের জায়গা কতটা রয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্নও ওঠে। কিন্তু উৎসব-পার্বণের দিন তাঁরা কোথায় থাকেন, কী ভাবে শামিল হন উৎসবে, আনন্দ করেন, সে কথা ক’জন মনে রাখেন? তাই গত পাঁচ বছর ধরে নিজেদের পুজোর আয়োজন করছেন রূপান্তরকামীরা।