
প্রতিবেদন: আজ কৌশিকী অমাবস্যা৷ কথিত আছে এই তিথিতেই তারাপীঠে (Tarapith) তপস্যায় সিদ্ধিলাভ করেছিলেন সাধক বামাক্ষ্যাপা। তারাপীঠ মহাশ্মশানের শ্বেত শিমূল গাছের নিচে বসে সাধনা করেন সাধক বামদেব। ভক্তকে নিরাশ করেননি মা তারা। দেখা দেন বামদেবকে। তখন থেকেই একথা প্রচলিত হয়েছে, যে বিশেষ এই তিথিতে মন থেকে কোনও কিছু প্রার্থনা করলে তা পূরণ হয়৷
তারপর থেকেই তারাপীঠে ফি-বছরই ভক্তদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায় তারাপীঠ মন্দিরে৷ করোনার দাপটে মাঝের দু’বছর অবশ্য সেই অর্থে ভক্তদের প্রবেশে নিষেধ জারি করা হয়েছিল৷ সেদিক থেকে দেখতে গেলে তিন বছর পর এবারই প্রথম কৌশিকী অমাবস্যায় ফের ভক্ত সমাগম তারাপীঠে৷ তাই আগের দিন থেকেই তারাপীঠ জুড়ে বাড়ছে ভক্তদের ভিড়৷
মন্দির কমিটি সূত্রের খবর: সকালে মঙ্গলারতি দিয়ে পুজোচর্নার শুরু৷ ফল, মিষ্টি, ক্ষীর দিয়ে দেওয়া হয় শীতল ভোগ। মায়ের শিলামূর্তিকে স্নান করানোর পর, পরানো হয় রাজবেশ। ফুলের সাজে সাজানো হয় মা তারাকে। আচার মেনে, দুপুরে তারা মাকে দেওয়া হয়েছে মধ্যাহ্ন ভোগ। ভোগে রয়েছে শোল মাছ পোড়া, সাত রকমের ভাজা, মাছ, ভাত, পোলাও । রাতে মন্দির চত্বরেই মহাযজ্ঞ ও নিশিপুজোর আয়োজন করা হয়। তবে ওই যজ্ঞে শুধুমাত্র মন্দিরের সেবায়েতরা অংশ নেন।
মন্দির কমিটির এক সদস্যের কথায়, ‘‘গত দু’বছর করোনার দাপটে ভক্ত সমাগমে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল৷ এবারে তারা মায়ের (Tarapith) পুজো দিতে দূর-দূরান্ত থেকে এসেছেন অগণিত ভক্ত। মহাশ্মশানে সামিল হচ্ছেন সাধু-সন্ত, তন্ত্রসাধকরা। সবমিলিয়ে প্রায় কয়েক লক্ষ পূর্ণাথীর সমাগম হতে পারে৷’’ স্বভাবতই, ভিড় সামলাতে কদিন আগে থেকেই কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন৷ লাগানো হয়েছে শতাধিক সিসিটিভি৷ ভক্তদের সুবিধার্থে বড় পর্দার মাধ্যমে আরতি দেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া রাস্তার মোড়ে মোড়ে থাকছে পুলিশি ব্যারিকেড৷ আজ এবং আগামীকাল শনিবার পরপর দুই দিন সারা রাত্রি তারা মায়ের মন্দির খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্দির কতৃপক্ষ৷
আরও পড়ুন:তোলা তুলে না দেওয়ায় অঞ্চল সভাপতিকে জেলের ভাত খাইয়েছিলেন কেষ্ট