মুর্শিদাবাদ: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে জনসাধারণের সুবিধার্থে ‘রূপশ্রী’ প্রকল্পের সূচনা। প্রকল্পের মাধ্যমে প্রাপ্তবয়স্ক কন্যাদের এককালীন ২৫ হাজার টাকা দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে ৩১ জানুয়ারি ২০১৮ সালের রাজ্য বাজেটে।
তবে ভুয়ো আবেদনপত্রের ফলে মমতার স্বপ্নের প্রকল্প এখন সমস্যার মুখে। বিয়ের কার্ড ছাপিয়ে প্রশাসনের কাছে আবেদন নিয়ে হাজির নববধূরা। কিন্তু এদের মধ্যে অধিকাংশই দীর্ঘদিন বিবাহিত, রূপশ্রীর আওতায় আসার জন্য নববধূ সেজে তারাই এসে কড়া নাড়ছেন রাজ্য সরকারের দরজায়। এদিকে হাজার হাজার আবেদন দেখে বিপাকে পড়েছেন আধিকারিকরা।
যারা নববধূ সেজে আবেদন করছেন তাঁদের মধ্যে অধিকাংশেরই বিবাহিত জীবনের ৮, ১০, ১৫ বছরেরেও বেশি পার হয়ে গিয়েছে। এমনকি ৭-৮ বছরেরে সন্তানও বর্তমান। প্রশাসনের তরফ থেকে জানান হয়েছে এই ভুয়ো আবেদনপত্রের কথা।
যেহেতু রূপশ্রীর টাকা সোজা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাওয়ার শর্ত হিসেবে বলা হয়েছে বিবাহের পূর্বে উপযুক্ত প্রমাণসহ আবেদন করতে হবে। তাই বিবাহিত মহিলারাও এই সুবর্ণ সুযোগের পেতে নববধূ সাজেই আবেদন করছেন।
সূত্রের খব অনুযায়ী, বর্তমান আর্থিক বর্ষে মুর্শিদাবাদ থেকে প্রায় এরকম ভুয়ো আবেদনপত্র জমা পড়েছে ৩,২১৫টি। এই ভুয়ো আবেদনকে বাতিল করে এই প্রকল্পের সুবিধা দানের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে ১৬ হাজার ৮৮০জন মহিলাকে এবং তাদেরকে নির্দেশমতোই পাঠানো হয়েছে ২৫হাজার টাকা।
তবে ‘রূপশ্রী’-র সুবিধা পাওয়ার জন্য লাগবে আরও কিছু শর্ত। আবেদনকারীর পরিবারের বার্ষিক অ্যায় হতে হবে ২.৫ লক্ষ টাকা। পাত্র ও পাত্রীকে প্রাপ্তবয়স্ক হতে পারে অর্থাৎ মেয়ের বয়স হতে হবে ১৮ এবং ছেলের বয়স হতে হবে ২১। এর চেয়ে কম বয়স হলে এই প্রকল্পের আওতায় পড়বে না।