তিমিরকান্তি পতি, বাঁকুড়া: প্রার্থী হবেন না৷ অথচ দলের হয়ে প্রচার করবেন৷ একুশের বিধানসভা ভোটে সবাই যখন টিকিট পাওয়ার দৌঁড়ে সামিল, তখন স্বেচ্ছায় ভোটের ময়দান ছেড়ে দিলেন তালড্যাংরার তৃণমূল সমীর চক্রবর্তী৷
এবার আর প্রার্থী হচ্ছেন না বাঁকুড়ার তালড্যাংরার তৃণমূল বিধায়ক সমীর চক্রবর্তী৷ শুক্রবার দলের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হবে৷ তার আগে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন সমীর চক্রবর্তী৷ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘‘আমি দলনেত্রীকে জানিয়েছি৷ দলের হয়ে প্রচার করবো কিন্তু প্রার্থী হতে চাই না।’’
জীবনে কোনও ভোটে জয়ের মুখ না দেখা সমীর চক্রবর্তী ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ‘লাল দূর্গ’ হিসেবে পরিচিত তালড্যাংরা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন৷ তাঁর বিপরীতে দাঁড়িয়েছিলেন ডাকসাইটে সিপিএম নেতা অমিয় পাত্র৷ তাঁকে হারিয়ে বিধানসভা ভবনে পৌঁছনোর ছাড়পত্র আদায় করে নেন কলকাতার বাসিন্দা ‘বহিরাগত’ সমীর চক্রবর্তী৷ পরে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে বিধানসভায় উপ মুখ্য সচেতক করেন৷
এই পাঁচ বছরে বিধানসভার সদস্যদের মধ্যে সম্পত্তির নিরিখে একেবারে প্রথম সারিতে থাকা (৪০ কোটি টাকারও বেশি সম্পত্তির মালিক) সমীর চক্রবর্তীর কাজে খুশি ছিলেন না তালড্যাংরার একটা বড় অংশের মানুষ৷ এমন নয় যে তিনি এলাকার জন্য কিছুই করেননি৷ বেশ কিছু উন্নয়নমূলক কাজ করেছিলেন সমীর চক্রবর্তী৷ কিন্তু তাঁর ব্যবহারে খুশি ছিলেন না অনেকেই৷
এমনকি অতিমারীর সময় এবং দীর্ঘ লকডাউনে তাঁর দেখা মেলেনি বলে স্থানীয়দের অভিযোগ৷ এই অবস্থায় তাঁকে আর ওই কেন্দ্রের প্রার্থী করার ঝুঁকি নিতে চায়নি শাসক শিবির৷ এমনটাই মনে করছেন জেলা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ৷ এবিষয়ে জানতে বিদায়ী বিধায়ক সমীর চক্রবর্তীকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন তোলেননি। তাই তাঁর প্রতিক্রিয়া মেলেনি৷