হাওড়া: সাত সকালে দাপুটে তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। ঘটনাটি হাওড়া জেলার বাগনানের। মঙ্গলবার সকালে রাজ্যের শাসকদলের ওই নেতার দেহ উদ্ধার করা হয়। মৃত ব্যক্তির নাম শেখ আসাদুল রহমান। এই ঘটনার জেরে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়া জেলার আমতা বিধানসভা কেন্দ্রের সক্রিয় তৃণমূল নেতা ছিলেন মৃত শেখ আসাদুল রহমান। বাগনানের বাইনান অঞ্চলে তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন তিনি। যদিও এখন তিনি আর ওই পদে বহাল নেই। সভাপতি না থাকলেও তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা হিসেবে এলাকায় যথেষ্ট দাপট ছিল তাঁর। সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে পরিচিতিও ছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতের দিকে আসাদুলের মোবাইলে একটা ফোন আসে। সেই ফোন পেয়েই সাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যান তিনি। সেই সময়েই তাঁকে ঘিরে ধরে দুষ্কৃতীরা। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে হত্যা করা হয় তৃণমূল নেতা শেখ আসাদুল রহমানকে। মঙ্গলবার সকালে বাগনানের কড়িয়ার বড়পোল এলাকায় রাস্তার ধার থেকে তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করা হয়।
এই ঘটনার পিছনে কে বা কারা জড়িত তা নিয়ে সন্দিহান পুলিশ। পরিবারের পক্ষ থেকে এই খুনের পিছনে রাজনৈতিক কারণ র্যেছে বলে দাবি করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে মৃত তৃণমূল নেতার মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। কললিস্ট দেখে অপরাধীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।