মালদহ: কয়েকদিন আগে এক সংঘর্ষে পুলিশের সামনে খুন করা হয়েছিল এক স্থানীয় যুবককে। এই রকম এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী ছিল মালদহবাসী (Malda)। ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ। এই ঘটনায় পুলিশ গ্রেফতারও করেছিল বেশ কয়েকজন অভিযুক্তকে। তবে মূল অভিযুক্ত ছিল পলাতক। অবশেষে মূল অভিযুক্ত তথা তৃণমূল (TMC) নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
জানা গিয়েছে, গত ১৮ আগস্ট মালদহের (Malda) কালিয়াচকের মোজমপুরে এক সংঘর্ষে পুলিশের সামনে খুন হতে হয়েছিল অহেদুল শেখ নামে স্থানীয় এক যুবককে। তবে এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত আসাদুল্লাহ বিশ্বাস গ্রেফতারি এড়াতে দিল্লিতে আত্মগোপন করে। এই ঘটনার পর কালিয়াচক থানার পুলিশ মূল অভিযুক্তের ছেলে সরফরাজ বিশ্বাস-সহ মোট আটজনকে গ্রেফতার করেছিল। ধৃতদের মধ্যে মোজমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান মহাম্মদ সারিউলও ছিল।
ঘটনার পর পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্ত শুরু করেছিল। এই ঘটনার মূল অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশিও চালাচ্ছিল পুলিশ। এরপর দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার এম হর্ষবর্ধনের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল গত বৃহস্পতিবার একটি গোপন ডেরা থেকে আসাদুল্লাহকে গ্রেফতার করে। অবশেষে পুলিশের জালে আন্তরাজ্য জাল নোট পাচার চক্রের মূল পান্ডা তথা তৃণমূল নেতা আসাদুল্লাহ বিশ্বাস।
তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতারের পর শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা মালদহ (Malda) তথা রাজনৈতিক মহলে। তবে তাকে গ্রেফতারের পর তৃণমূল নেতৃত্বদের দাবি, আসাদুল্লাহ বিশ্বাস দলের একজন সমর্থক মাত্র। তিনি কোন পদে নেই। তবে এই ঘটনার পর দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় এজেন্সি ইডি, জাতীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ, নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর খাতায় আসাদুল্লাহ বিশ্বাসের নামে অন্তত ৫০ টি মামলা নথিভুক্ত রয়েছে।