খাস খবর ডেস্ক: প্রতিদিনই প্রায় কোনও না কোনও জায়গা থেকে রেলে মৃত্যুর খবর আসছে। এবার এই মৃত্যুকে ঠেকাতে মঙ্গলবার চোপড়ার কনুয়াগছ প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় রেল পুলিশের উদ্যোগে এক সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করা হয়। এই শিবিরে স্থানীয় মানুষদের রেল সুরক্ষার ব্যাপারে সচেতন ও সতর্ক করা হয়।
আরও পড়ুনঃ কেন্দ্রের বড় সিদ্ধান্ত, জিএসটির আওতায় আসতে পারে পেট্রল-ডিজেল
চোপড়ার ধুমডাঙি স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় চার কিশোরের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার তিন সপ্তাহ পর মঙ্গলবার স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে রেল পুলিশের উদ্যোগে সচেতনতা শিবির অনুষ্ঠিত হল। এদিনের এই সচেতনতা শিবিরে উপস্থিত ছিলেন, এনজেপি, জিআরপি এবং আরপিএফ-এর আধিকারিকরা।
আরও পড়ুনঃ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম পাখির অভয়ারণ্য কোথায় জানেন, শুরু হল গণনার কাজ
এদিকে সংশ্লিষ্ট এলাকায় বন্ধ গেট চালু ও আন্ডারপাসের দাবি তুলেছেন এলাকাবাসী। আইসি এদিন এলাকায় আর এস ক্যাম্প চালুর বিষয়ে আশ্বস্ত করেন। দাবির বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। রেল আধিকারিকদের তরফে বলা হয়, এনজিপি থেকে ধুমডাঙি স্টেশন পর্যন্ত মোট একশ ছয় কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটে সে ক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসন অথবা রেলওয়ে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে আইনগত ভাবে তার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। কোনও ধরনের ভয় না পেয়ে এই কাজে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান আধিকারিকেরা।
স্থানীয় যুবক শ্রীবৎস সিংহ জানান, ‘মর্মান্তিক দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছিল সেদিন। ট্রেনের ধাক্কায় এই গ্রামের চার-চারটি যুবকের তরতাজা প্রাণ চলে যায়। কিন্তু মানুষ আইনি জটিলতার ভয়ে দেহগুলিকে উদ্ধার করে সৎকার করেছিলেন। এটা ঠিক নয়, যদি আইন অনুযায়ী তাদের ময়নাতদন্ত করা হত এবং আইনি পদ্ধতি মেনে সৎকার করা হত, তাহলে আজ হয়ত তাদের পরিবার কোনও ধরনের অনুদান পেলেও পেতে পারতেন। আগামীতে আমাদের সজাগ থাকতে হবে, যেন এই ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে। আর যদি কোনও কারণে ঘটে যায় সেক্ষেত্রে অবশ্যই পুলিশ প্রশাসনের নজরে বিষয়গুলিকে নিয়ে আসা উচিত।’
প্রসঙ্গত, গত ২২ অগাস্ট ধুমডাঙি স্টেশনের কাছে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয় কনুয়াগছ গ্রামের চার কিশোরের। লাইনে বসেই মোবাইল গেমে মগ্ন ছিলেন তারা। সেইসময় ঘটনাটি ঘটে। এরপর সেখানে পুলিশ এবং রেলওয়ে পুলিশের কর্মকর্তারা পৌঁছানোর আগেই গ্রামবাসীরা তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করে সৎকার করে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিকেলে আইসি এনজিপি, আরপিএফ এবং জিআরপি-এর আধিকারিকরা গ্রামবাসীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে একটি সচেতনতামূলক শিবিরের আয়োজন করে।