আব্দুল ফারিদ, কালিয়াচক: অমানবিক রূপ ধরা পড়ল কালিয়াচকের সিলামপুর গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের৷ হাসপাতালের এক ভাঙাচোড়া বেডে এক বৃদ্ধা মহিলা জরাজীর্ণ শরীরে চিকিৎসা ও খাবার ছাড়া পড়ে রয়েছেন। এই নিয়ে সরব তৃণমূল ও কংগ্রেস উভয় দল৷
কখনও হাত নাড়ছেন, কখনো পা নাড়ছেন। ছটপট করছেন। কিন্তু কোন চিকিৎসক বা নার্স তার খোঁজখবর নিতে যাচ্ছেন না। কোন চিকিৎসা করা হচ্ছে না। এমনকি তাঁকে একমুঠো খাবারও দেওয়া হচ্ছে না। প্রায় ১২ দিন ধরে এমন অবস্থাতেই পড়ে রয়েছেন ওই মহিলা। কালিয়াচক হাসপাতালে গা শিউরে ওঠা অমানবিক ঘটনায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে।
বিরল ঘটনার দেখলেই চোখ দিয়ে জল পড়ে। নিজের মনেই প্রশ্ন জাগে, আমরা আধুনিক যুগে বাস করি? নাকি সেই হিংস্র অমানবিক আদিম যুগে? কালিয়াচকের সিলামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে প্রত্যেকদিন শত শত রোগী আসছে। কেউ ভর্তি হচ্ছেন, চিকিৎসা করে আবার ফিরে যাচ্ছেন। কিন্তু ওই মহিলা অর্ধনগ্ন অবস্থায় পড়ে রয়েছেন।
বুকের উপর ভর করে করেই কখনও হাত পা নাড়ছেন। কিন্তু কথা বলছেন না। ফলে তাঁর পরিচয় জানা যায়নি। হয়তো কোন সিভিক ভলান্টিয়ার, অথবা পথ চলতি মানুষ বিবেকের তাড়নায় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য রেখে গিয়েছেন। কিন্তু রেখে যাওয়াই সার। আজও তার ভাগ্যে জোটেনি এক ফটো ওষুধ।
এমনকি কেউ খাবারও দেন না৷ পাশের রোগীদের চিকিৎসা করা হলেও ওই নোংরা গদির ছোবড়াড় উপর বুকে ভর দিয়ে পড়ে থাকা বৃদ্ধার চিকিৎসার করেন না। এমনকি হাসপাতালে কর্তব্যরত নার্সদের ওই মহিলা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে কোন কথাই বলতে চাননি।
হাসপাতালের বি এম ও এইচ মতিউর হককে ধরা হলে তিনি ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে চাননি। তবে পরে জানান, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে তবেই বলতে পারবেন।