বাড়ছে শাসকের ভাঙন, ‘এই তৃণমূল আর না’ বাবুলের রেকর্ডই বাজাচ্ছে সাগরদিঘি

0
31

খাস প্রতিবেদন: সালটা ২০২০৷ নভেম্বর মাস৷ দুয়ারে বিধানসভা নির্বাচন৷ শাসকের অন্দরে ভাঙন ক্রমেই তীব্রতর৷ এমন আবহে ‘এই তৃণমূল আর না’ গান সামনে এনে বঙ্গ রাজনীতিতে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিলেন তৎকালীন বিজেপির সাংসদ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ো৷ মোদী শাহের ঘনিষ্ঠ বৃত্তের নেতা হিসেবে পরিচিত বাবুলের মুখে সেদিন শোনা গিয়েছিল, ‘আরে ফুটবে এবার পদ্মফুল, বাংলা ছাড়ো তৃণমূল!’ বাবুলের সেই কথা তিন বছরের ব্যবধানে বাজতে শুরু করেছে সাগরদিঘিতে৷

সদ্য সমাপ্ত উপ নির্বাচনে শাসকদলকে বড় ধাক্কা দিয়েছে সাগরদিঘি৷ জয়ী হয়ে ইতিহাস গড়েছেন বাম-কংগ্রেস জোটের বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস৷ ফল প্রকাশের পর বিরোধীদের বিরুদ্ধে সম্মিলিত ষড়যন্ত্রের নালিশ এনেছিলেন খোদ তৃণমূল নেত্রী৷ এলাকার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট চলছে, উপ নির্বাচনে শুরু হওয়া ভাঙন সাগরদিঘিতে এখনও বজায় রয়েছে৷ প্রায় প্রতিদিনই এলাকার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দলে দলে নেতা, কর্মী তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে নাম লেখাচ্ছেন৷

- Advertisement -

যেমনটা হল শনিবার সকালে৷ এদিন চাপড়া ব্লক এলাকায় কয়েক’শ তৃণমূল নেতা, কর্মী যোগ দিলেন কংগ্রেসে৷ দল বদলে তৃণমূল নেতা, কর্মীরা বলছেন,‘‘তোলবাজিতে ভরে গিয়েছে আস্ত দলটা৷ এই তৃণমূল আর না৷’’ বস্তুত, দুয়ারে কড়া নাড়ছে পঞ্চায়েত নির্বাচন৷ এমন আবহে যেভাবে গ্রামের পর গ্রামে মানুষজন, বিশেষত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজন তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে নাম লেখাচ্ছেন তাতে উষ্মা প্রকাশ করছেন নেতৃত্বরা৷ কংগ্রেসের স্থানীয় নেতৃত্বরা বলছেন, অপেক্ষা করুন৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনে এখানে আরও বড় ভাঙন দেখতে পাবেন৷ পরিস্থিতির ক্রেডিট অবশ্য তৃণমূলকেই দিচ্ছেন কংগ্রেসের নেতৃত্বরা৷ তাঁরা বলছেন, সিপিএণ যেভাবে মানুষকে বাধ্য করেছিল তৃণমূলকে সমর্থন করতে, এখন তৃণমূলও নিজেদের আচরণে মানুষকে বাধ্য করছে ওদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে৷ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই প্রবণতা আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন নেতৃত্বরা৷

আরও পড়ুন: পানশালায় স্বল্পবসনা নারীর সঙ্গে নৃত্য করছেন বিজেপির কয়েকজন নেতা ও কর্মী