হাওড়া: মাত্র তিনমাস হয়েছে বিয়ে৷ ১৪ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার তাঁদের প্রথম ভ্যালেন্টাইন ডে হওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু তার আগেই সবটা শেষ হয়ে গেল৷ গৃহবধূকে খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বামী ও শ্বশুড় বাড়ির বিরুদ্ধে৷ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার নিশ্চিন্দায়৷ ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়৷
মৃতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯ নভেম্বর নিশ্চিন্দা থানার আনন্দনগর সর্দার পাড়ার বাসিন্দা কার্তিক সর্দারের সঙ্গে বিয়ে হয় হাওড়ার জগাছা রামরাজাতলার জিআইপি কলোনির লিপি ঘোষের৷ বিয়ের পর কিছুদিন তাদের সংসার ঠিকই চলছিল৷ কিছুদিন পর থেকে শুরু হয় লিপি ঘোষের উপর অত্যাচার৷
পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের সময় পণ বাবদ সোনার গহনা ও যৌতুক দেওয়া হয়৷ কিন্তু তারপরেও নগদ এক লক্ষ টাকা দাবি করে অভিযুক্ত স্বামী কার্তিক ও তার পরিবার৷ শুরু হয় সংসারে অশান্তি৷ নিয়মিত অত্যাচার চলত গৃহবধূ লিপির উপর৷ শ্বশুড় বাড়ির সদস্য ও স্বামীর দাবি মতো টাকা দিতে না পারায় লিপিকে খুন করে সিলিং ফ্যানে ঝুলিয়ে দেয় স্বামী কার্তিক৷
পুলিশ ঝুলন্ত অবস্থায় দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। ঘটনায় মেয়ের বাড়ির পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে৷ অভিযোগের ভিত্তিতে গৃহবধূর স্বামী কার্ত্তিক সর্দারকে গ্রেফতার করেছে নিশ্চিন্দা থানার পুলিশ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷