বারুইপুর: কোচিং সেন্টারে পড়তে গিয়ে ধর্ষণের শিকার। ঘটানায় অভিযুক্ত প্রাইভেট শিক্ষক। একাধিক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনেরও অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষককে। ঘটনাটি ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর (Baruipur) রেল কোয়ার্টারে। নির্যাতিতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বারুইপুর রেল কোয়ার্টারের কোচিং সেন্টারে পড়তে যেত তাঁদের ১৪ বছরের মেয়ে। সেখানেই তাঁর ওপর যৌন নির্যাতন চালাত অভিযুক্ত শিক্ষক। শুধু তাই নয় বিগত কয়েকদিন ধরে তাঁকে ধর্ষণও করা হয়েছে। ঘটনার কথা কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দিয়েছিল অভিযুক্ত শিক্ষক, এমনটাই দাবি নির্যাতিতার।
বেশ কিছুদিন ধরে নাবালিকা মানসিকভাবে ভেঙে পড়লে চিন্তিত হয়ে পড়েন তাঁর মা-বাবা। তাঁকে মনোবিদের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় কাউন্সিলিং করাতে। সেখানেই নাবালিকা সমগ্র ঘটনাটি জানায় সকলকে। ঘটনার কথা শুনে নাবালিকার পরিবার তড়িঘড়ি স্থানীয় থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। গ্রেফতারও করা হয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষককে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম বিশ্বনাথ সর্দার। কোচিং-এর অন্যান্য ছাত্রীদের সঙ্গেও অভিযুক্ত শিক্ষক এইরকমই খারাপ আচরণ করত। ভয়ে কাউকে জানাতে পারেনি ছাত্রীরা। এমনটাই জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার পরিবারের সূত্রে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি আরজিকর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দেশের মানুষকে। আরজিকর ঘটনার ন্যায়বিচারের দাবিতে বর্তমানেও বিক্ষোভে সামিল সাধারণ মানুষ। তবে এই আবহেই সামনে আসছে একের পর এক ধর্ষণ এবং যৌন নির্যাতনের ঘটনা। বারুইপুরের কোচিং সেন্টারে নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় ফের প্রশ্ন উঠেছে নারী নিরাপত্তা নিয়ে। তবে কোথায় আছে নারী নিরাপত্তা?