শুধুমাত্র ঝাঁপ নয়, মৃত্যু নিশ্চিত করতে সাঁতারে মাঝ সমুদ্রে

0
78

নিজস্ব সংবাদদাতা, শঙ্করপুর: কথাতেই আছে না রাখে হরি মারে কে৷ আত্মহত্যা শত চেষ্টার পরও কার্যত বিফলে৷ উত্তাল সমুদ্রে (Sea) ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা চেষ্টা করল এক মধ্যবয়স্ক ব্যক্তি৷ নুলিয়া ও মৎস্যজীবীদের প্রচেষ্টায় দ্রুত উদ্ধার করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। খুবই আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রয়েছে ওই ব্যক্তি।

যদিও ওই ব্যক্তিক এখনও পর্যন্ত কোনো পরিচয় জানা যায়নি। ওই ব্যাক্তি শঙ্করপুর তথা পাশাপাশি গ্রামের বাসিন্দা নয় বলে এমনটাই স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে মান্দারমনি উপকূল থানার পুলিশ৷
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাত ১০ টা নাগাদ একটি টোটোতে করে এসে হাজির হন শঙ্করপুর সমুদ্র লাগোয়া এলাকায়৷

- Advertisement -

এরপর পাশের একটি দোকানে চা পান করেন। সমুদ্রের জোয়ারের জন্য অপেক্ষা করছিল ওই ব্যক্তি। সমুদ্রে জোয়ার আসতেই দ্রুত সমুদ্র পাড়ে চলে যান। তারপরে সমুদ্রে ঝাঁপ দেন ওই ব্যক্তি। মৃত্যু নিশ্চিত করতে সমুদ্রে সাঁতার কেটে মাঝের দিকে চলে যান। মৎস্যজীবীরা দেখতে পেয়ে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে সমুদ্রে ঝাঁপ দেয়।

পাশাপাশি নুলিয়া ও গ্রামের বাসিন্দারা উদ্ধার কাজে হাত লাগান। এরপর ওই ব্যক্তিকে মৃত্যুর মুখ থেকে উদ্ধার করে। কিন্তু গুরুতর জখম হয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। সমুদ্রে পাথরের আঘাতে মাথা ফেটে যায়। এরপর কার্যত সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে ওই ব্যক্তি। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে মান্দারমনি উপকূল থানার ওসি অনুষ্কা মাইতি বিশাল পুলিশ বাহিনী।

দ্রুত উদ্ধার করে রামনগর বালিসাই বড়রাঙ্ককুয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত হাসপাতালে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় চিকিৎসাধীন বলে এমনটাই জানা গিয়েছে। মন্দারমনি উপকূল থানার ওসি অনুষ্কা মাইতি জানান, অনুমান করা হচ্ছে পারিবারিক অশান্তির কারণে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করছেন৷ ওই ব্যক্তি শঙ্করপুরে বাসিন্দা না হলেও পাশাপাশি গ্রামের বাসিন্দা৷

উদ্ধারকারী তথা স্থানীয় বাসিন্দা তাপস জানার কথায়, টোটো করে এসেই দোকানে চা খাওয়ার পর সমুদ্রে ঝাঁপ দেয়৷ তারপরেই মাঝ সমুদ্রে তলিয়ে যায়৷ পুলিশ ও নুলিয়ারা এসে উদ্ধার করা হয়। পরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ সেখানেই বর্তমানে চিকিৎসাধীন তিনি৷ পাশাপাশি ঘটনাটির তদন্তে নেমেছে পুলিশ৷