রহড়া: আবর্জনার স্তুপে পড়েছিল একটি পরিত্যক্ত কৌটো। ভাঙাচোরা জিনিস কুড়োনোর কাজে বেরিয়ে কৌটোটিকেও তিনি বালতি করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। আর তারপর সে কৌটোর মধ্যে কী আছে তা খুলে দেখতে বলেন তার নাতিকে। আর তখনই ঘটে বিপত্তি। আচমকাই বিকট শব্দ। বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হয় শেখ সাহিল(১৭) নামে এক কিশোর। আশংকাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুনঃ বিচারের দাবিতে আমরণ অনশন, গ্রেফতার ভোট পরবর্তী হিংসায় মৃত বিজেপি কর্মীর দাদা ও তাঁর বন্ধু
রুইয়া মধ্যপাড়ার বাসিন্দা এক প্রৌঢ় এদিন রহড়া থানার পিছনের একটা ঝোপ থেকে একটা কৌটো নিয়ে বাড়িতে নিয়ে যান। এরপর নাতিকে ওই কৌটো খুলে দেখতে বলেন। নাতি সেটা নিয়ে নাড়াচাড়া করতেই বাড়ির মধ্যেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে ব্যারাকপুর বিএন বসু মহকুমা হাসপাতাল ও পরে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কিশোরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা। মৃত কিশোরের দাদু বলেন, ‘একটা কৌটো কুড়িয়ে নিয়ে এসেছি। বালতির মধ্যেই কৌটো রেখে দিয়েছিলাম। নাতিকে বলেছিলাম কী আছে দেখতে। নাড়াচাড়া করতে করতে হঠাত্ই ফেটে যায়। ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে এলাকায়।
আরও পড়ুনঃ চারধাম যাত্রা শুরু হওয়ার পর মৃত্যু ৩১ জন তীর্থযাত্রীর, জানুন কারণ
কিন্তু, কোথা থেকে থানার কাছে এই বোমা এল? তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ওই প্রৌঢ়কে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে রহড়া থানার পুলিশ। কোথা থেকে কৌটো বোমা পেলেন? কেন বাড়িতে নিয়ে গেলেন? পুলিশ সূত্রে খবর, এই সব কিছুই জানতে চাওয়া হচ্ছে। রহড়া থানার ঢিলছোড়া দূরত্বে এরকম ধরনের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিশোরের মৃত্যুর ঘটনায় শোকের ছায়া এলাকায়।