কল্যাণী: আরজিকর কাণ্ডের ন্যায়বিচারের দাবিতে বিক্ষোভে সামিল বাংলা তথা সমগ্র দেশ। এই আবহেই ফের ধর্ষনের অভিযোগ উঠল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। বিগত কয়েক বছর ধরে যৌন নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের বিরুদ্ধেই। ধর্ষণের অভিযোগ জানানোর পরও পুলিশ কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় অবশেষে রাজ্যপালকে চিঠি নির্যাতিতার। তবে এই বিষয়টি অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত অধ্যাপক।
ঘটনাটি ঘটে নদিয়া জেলার কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে। নির্যাতিতার দাবি, ২০২২ সালে তিনি পিএইচডি শুরু করার জন্য তিনি কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। তখন থেকেই তাঁর ওপর যৌন নির্যাতন চালিয়েছেন তাঁরই গবেষক অধ্যাপক। এই ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সম্পূর্ণ বিষয়টি জানায় তিনি। এমনকি কল্যাণী থানায়ও অভিযুক্ত ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিল নির্যাতিতা ওই ছাত্রী। কিন্তু পুলিশ এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও এই বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
এরপর নির্যাতিতা আরও জানিয়েছেন, এই ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই অধ্যাপককে বেশ কিছুদিনের জন্য সাসপেন্ড করলেও তা বেশিদিন কার্যকরী হয়নি। কর্তৃপক্ষের ওপর প্রভাব খাটিয়ে সাসপেন্ড অর্ডার তুলে দেয় অভিযুক্ত অধ্যাপক। তারপরই আরও ক্ষমতাশালী হয়ে ওঠেন তিনি। বর্তমানে তিনি বিভাগীয় প্রধান।
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া আরজিকর ঘটনার পরই এই ঘটনার প্রতিবাদ জানানোর সাহস পায় ওই নির্যাতিতা। অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে এবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দের দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা তথা কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া। তবে এই বিষয়ে অভিযুক্ত অধ্যাপক বলেছেন, “দু’বছরের পুরোনো ঘটনাকে সুযোগ বুঝে আবারও সামনে আনছে নির্যাতিতা ছাত্রী। তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এখন পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে আমাকে ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছে। রাজনৈতিক চক্রান্ত করে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে। গোটা বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। এর থেকে বেশি কিছু আমি মন্তব্য করব না।”