
কলকাতা – ফের উত্তপ্ত ধর্মতলা। মহার্ঘ ভাতা (DA)-র দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বিক্ষোভে উত্তাল ধর্মতলা চত্বর। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি আন্দোলনকারীদের। পুলিশের বিরদ্ধে বিক্ষোভকারীদের উপর কিল-চড়-ঘুসি চালানোর অভিযোগও আনা হয়েছে। ঘুষি মেরে কিছু আন্দোলনকারীর মুখ ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।
আরও পড়ুন : FIFA World Cup: ইতিহাস গড়লেন ফ্রান্সের রেফারি Stephanie Frappart
টানাহ্যাচড়া, রক্ত, ধস্তাধস্তি। তবে এবার আন্দোলনের সম্মুখ সমরে টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা নয়। আন্দোলনে সরকারি চাকুরিজীবীরা। মহার্ঘ ভাতা (DA)-র দাবিতে আবারও উত্তাল হয়ে উঠল ধর্মতলা চত্বর। কেন্দ্রের সমান বকেয়া মহার্ঘ ভাতা কবে পাওয়া যাবে? এই দাবিতেই বুধবার বিধানসভা অভিযানে নামে রাজ্য সরকারের বেতনভুক এবং পেনশনভুক্ত কর্মচারীদের ৩০টি সংগঠন। বিক্ষোভকারীরা জমায়েত করে আকাশবানী ভবন থেকে বিধানসভার দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পথে দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। আন্দোলনকারীদের আটকাতে তৎপর হয় পুলিশ। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরাও। তবে বিপুল সংখ্যক বিক্ষোভকারীদের সামলাতে হিমসিম খেতে হয় পুলিশবাহিনীকে।
আরও পড়ুন :রাত বাড়লেই গ্রাম জুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে শিয়ালের দল
আরও পড়ুন :বিসিসিআইকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এবারে বিপিএলে খেলবেন এই ভারতীয়
বিধানসভা চত্বরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। ডিএ-র (DA) দাবিতে বিক্ষোভকারীরা বিধানসভার মূল গেটে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গেই সেখানেও পুলিশের সঙ্গে সংঘাত বাধে। অভিযোগ, সরকারি কর্মচারীদের আটকাতে তাঁদের উপর বলপ্রয়োগ করে পুলিশ। পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে বিক্ষোভকারীদের টেনে পুলিশের গাড়িতে তোলার চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ। জামার কলার ধরে কিছু বিক্ষোভকারীকে টেনে নিয়ে যেতে দেখা যায় পুলিশকে।প্রসঙ্গত , সম্প্রতি ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের জমায়েত ও বিক্ষোভকে ঘিরে বুধবার ধুন্ধুমার বেঁধে যায় এক্সাইড মোড় চত্বরে (Kolkata Exide More)। প্রিজন ভ্যানের নিচে শুয়ে পড়েও বিক্ষোভ দেখান বেশকিছু বিক্ষোভকারী। তাঁদের টেনে হিঁচড়ে বের করে পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় আন্দোলনকারীদের। চ্যাংদোলা করে চাকরিপ্রার্থীদের তুলে নিয়ে যায় পুলিশ।অভিযোগ, এই ধস্তাধস্তির মাঝেই আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থী অরুণিমা পালের হাতে কামড় দেন এক মহিলা পুলিশ কর্মী। যদিও কামড়ানোর অভিযোগ অস্বীকার করেন পুলিশকর্মী। পাল্টা অরুণিমার বিরুদ্ধেই কামড়ানোর অভিযোগ তোলা হয়। কামড়ের রেশ কাটতে না কাটতেই পুলিশের (police) বিরুদ্ধে চিমটি কাটার অভিযোগ ওঠে। আপার প্রাইমারি চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলনে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাসবিহারী তথা কালীঘাট চত্বর। সেখানে আন্দোলনকারীদের হঠানোর মাঝে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠে চিমটি কাটার অভিযোগ। ঘটনাস্থলে ছিলেন প্রায় ৪০০ জন চাকরিপ্রার্থী। আন্দোলনকারীদের হঠাতে সেদিনও রীতিমত ধস্তাধস্তি শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে।