খাসডেস্ক: সন্দীপ ঘোষের (SANDIP GHOSH) রেজিস্ট্রেশন বাতিল করল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। এরফলে আর ডাক্তারি করে খেতে পারবেন না আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ। আরজি করে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সিবিআই এর হাতে গ্রেফতার সন্দীপ। আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে।
আরও পড়ুন: পাথরের বদলে পেন ও বই হাতে, কাশ্মীরে ভোট বাড়তেই কী বললেন মোদী
চলতি মাসের ২ রা সেপ্টেম্বর গ্রেফতার হন সন্দীপ। ৭ ই সেপ্টেম্বর সন্দীপ ঘোষকে শোকজ নোটিশ পাঠায় রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগের কারণ জানতে চাওয়া হয়। সেইমতো জবাব দেওয়ার জন্য ৭ দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি সন্দীপ রায়কে চিঠি লেখেন তৃণমূলের চিকিৎসক নেতা শান্তনু সেন। ব্যক্তিগত সম্পর্কের উর্ধ্বে উঠে সন্দীপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়। এরপর সুদীপ্ত জানান যে কোন সময় কাউন্সিলের বৈঠক বসতে পারে। আজ, বৃহস্পতিবার বসেছিল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের বৈঠক। সেই বৈঠকে সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন : এক সপ্তাহ পর অনুমতি, বিধানসভায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন মানিক
সন্দীপের (SANDIP GHOSH) এই রেজিস্ট্রেশন বাতিলের খবর সামনে আসার পর অনেকেই মনে করছেন সেইদিনের কথা। স্বাস্থ্যভবনে পদত্যাগ পত্র দিতে এসে সন্দীপ বলেছিলেন, “আমি অর্থোপেডিক সার্জেন। আমার দু’টো হাত রয়েছে। আমি কিছু করে খেতে পারব।” রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের এই সিদ্ধান্তের পর সন্দীপ ঘোষের ডাক্তারি করে করে খাওয়ার হাত দুটোই আপাতত আর থাকল না। এই খবর সামনে আসার পর অনেকেই বলতে শুরু করেছেন অহংকারই অহংকারীর পতনের মূল।