খাসডেস্ক: তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের মামলায় টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল (abhijit mondal) ও সন্দীপ ঘোষকে (sandip ghosh) পেশ করা হয় শিয়ালদহ কোর্টে। তথ্য প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা ও এফআইআর দেরিতে রুজু করার অভিযোগ রয়েছে উভয়ের বিরুদ্ধে। বুধবার আদালতে সিবিআই (cbi) দাবি করেছে, টালা থানায় এই মামলা সংক্রান্ত কিছু ভুয়ো তথ্য বানিয়ে সেগুলি বদল করা হয়েছিল। দুই অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সময় এই তথ্য তাঁদের হাতে উঠে এসেছে বলে আদালতে দাবি করা হয়। ইতিমধ্যে টালা থানার সিসিটিভি ফুটেজ ও হার্ডডিস্ক ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
আরও পড়ুন : ‘ভয় নেই, আইনি লড়াই লড়তে আমি প্রস্তুত’, কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে লোকায়ুক্ত তদন্তের নির্দেশ
যদিও সন্দীপ ঘোষের আইনজীবীর দাবি, দেরিতে এফআইআরের অভিযোগ তাঁর মক্কেলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। আইনজীবীর যুক্তি, ৯ অগাস্ট ঘটনার কথা জানতে পেরে সকাল ৯টা ৫৮মিনিট নাগাদ টালা থানার তৎকালীন ওসিকে ফোন করে বিষয়টি জানিয়েছিলেন সন্দীপ। এর পর দুপুর আড়াইটে নাগাদ হাসপাতালের সুপারের মাধ্যমে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। সে ক্ষেত্রে দেরিতে এফআইআর করার অভিযোগ কী ভাবে সন্দীপের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়, প্রশ্ন তোলেন আইনজীবী।
আরও পড়ুন : এবার কর্মরত অবস্থায় এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের মহিলা কর্মীর মৃত্যু, মুখ খুললেন অখিলেশ যাদব
পাশাপাশি টালা থানার প্রাক্তন ওসির আইনজীবী এ দিন তাঁর জামিনের জন্য আবেদন জানান। দেরিতে এফআইআর করার যে অভিযোগ উঠেছে প্রাক্তন ওসির বিরুদ্ধে, সে বিষয়েও আপত্তি জানান তিনি। যে অভিযোগ অভিজিৎ মণ্ডলের (abhijit mondal) বিরুদ্ধে করা হয়েছে সেটি জামিনযোগ্য বলেও দাবি করেন আইনজীবী। সিবিআইয়ের (cbi) তরফে দু’জনকেই ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠানোর জন্য আবেদন জানানো হয়। দুই অভিযুক্তের জামিনের আর্জি খারিজ করে, ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্তই জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।