বাঁকুড়া: বর্ষায় টইটুম্বুর ছোটো জলাশয় থেকে নদীনালাও। গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিতে ভরে উঠেছে বিভিন্ন বাঁধগুলিও। সেই বাঁধের জলকে আর আটকে রাখতে না পারে এবার ছাড়তে বাধ্য হল দুর্গাপুর ব্যারেজ (Durgapur Barrage)। দামোদর নদ বয়ে গিয়েছে বাঁকুড়া (Bankura) ও পশ্চিম বর্ধমান (Paschim Bardhaman) জেলার মধ্যে দিয়ে। সারা বছর এই নদে যথার্থ পরিমাণ জল না থাকলেও ভরা বর্ষায় থাকে তার এক ভয়ঙ্কর রূপ। দফায় দফায় ডিভিসি (DVC) কয়েক লক্ষ কিউসেক জল ছাড়ায় জলমগ্ন দামোদর (Damodar) তীরবর্তী অঞ্চল সমূহ।
দুর্গাপুর ব্যারেজ (Durgapur Barrage) জল ছাড়ায় এমনিতেই জলমগ্ন বাঁকুড়া (Bankura) এবং পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) একাধিক অংশ। সূত্রের খবর, গত রবিবার রাতে আরও একদফা জল ছাড়ার সেই জলের পরিমাণ অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। জল ছাড়া হয় প্রায় ১ লক্ষ ৩১ হাজার ৪৮৩ কিউসেক। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বন্যার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে বাঁকুড়ার বড়জোড়া ব্লকের মানাচর ও সোনামুখী (Sonamukhi) ব্লকের সমিতি মানা ও কেনেটি মানা গ্রাম। বন্যা প্রবণ এলাকাগুলিতে নজরদারি চালাচ্ছে জেলা ও মহকুমা প্রশাসন। চলেছে মাইকিং। জরুরি অবস্থার আশঙ্কায় তৈরি রয়েছে ফ্লাড সেন্টারও।
প্রতিনিয়ত পরিস্থিতির দিকে খেয়াল রাখতে এলাকা পরিদর্শনে যাচ্ছেন বাঁকুড়া (Bankura) জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা। গত রবিবার বিকেলে বাঁকুড়ার জেলা শাসক ও পুলিশ সুপার দুর্গাপুর ব্যারেজ (Durgapur Barrage) ও বড়জোড়া এলাকা ঘুরে দেখেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার-সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকেরাও ঘুরে দেখেন সোনামুখীর (Sonamukhi) দামোদর (Damodar) তীরবর্তী এলাকাগুলি। তাঁদের দাবি, পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রশাসন তৈরি রয়েছে।
দুর্গাপুর ব্যারেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, দামোদরের উচ্চ অববাহিকায় থাকা অন্যান্য জলাধার থেকে জল ছাড়া অব্যাহত থাকায় দুর্গাপুর ব্যারেজ (Durgapur Barrage) থেকেই দফায় দফায় জল ছাড়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে জল ছাড়ার কারণে একাধিক এলাকা প্লাবিত হওয়ায় দুশ্চিন্তায় রয়েছে দামোদর (Damodar) তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষদের। হাই এলার্ট থাকতে বলা হয়েছে দামোদর তীরবর্তী থানা, ব্লক প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকেও। প্রস্তুত রয়েছে জেলার বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। কিন্তু প্রশাসনের এই আশ্বাসেও যেঁন আতঙ্ক কাটছে না দামোদর তীরবর্তী এলাকার মানুষের।