বাঁকুড়া: আরজিকর কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। আর এই আবহেই সামনে আসছে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা। এবারও সামনে এল এরকমই এক ঘটনা। নিখোঁজ হওয়ার ২ দিন পর বাঁকুড়ার জঙ্গল থেকে উদ্ধার এক গৃহবধূর অর্ধনগ্ন দেহ। তবে গৃহবধূর মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সমগ্র এলাকায়। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বিষ্ণুপুর (Bishnupur) থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শনিবার দুপুরে জঙ্গলে কাঠ কুড়াতে গিয়েছিল বছর ৪৫-এর এক মহিলা। তারপর থেকে তাঁর কোনো খোঁজ না পাওয়ায় তল্লাশি শুরু করে পরিবারের লোকজনেরা। এরপরই আচমকা রবিবার বিষ্ণুপুরের (Bishnupur) গভীর জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয় ওই মহিলার অর্ধনগ্ন দেহ। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় বিষ্ণুপুর থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থালে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী গৃহবধূর দেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। কোনো বিষধর সাপের আঘাতেই মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান চিকিৎসকদের। এই বিষয়ে এক স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন, যেই স্থান থেকে ওই মহিলার দেহটি পাওয়া গিয়েছে সেই স্থানের মাটিতে ভারী বস্তুর টেনে নিয়ে যাওয়ার দাগ রয়েছে। তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। কোনো বিষধর সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়ে থাকলে তাঁকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে কেন, প্রশ্ন মৃতার পরিবারের।
মৃতদেহ উদ্ধারের পর মৃতার পরিবার ধর্ষণ করে খুনের দাবিতে বিষ্ণুপুর (Bishnupur) থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই বিষয়টি নিয়ে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ময়নাতদন্তের ভিডিওগ্রাফিও করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই সঠিকভাবে জানা সম্ভব কীভাবে ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে।