মালদহ: নাবালিকা (Minor) ধর্ষণের মতো ঘটনায় অভিযুক্তকে ছেড়ে দেওয়ায় পথ অবরোধ করে বিক্ষোভের সম্মুখীন এলাকাবাসীরা। কেন একজন আসামীকে ছেড়ে দিল, তা জানতে চাওয়া হয় পুলিশের কাছে। তবে কী এইভাবেই গাফিলতি করছে নিজেদের কাজে পুলিশ (Police) প্রশাসন। এলাকাবাসীর প্রশ্নের সম্মুখীন পুলিশ প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ জুলাই মালদহে (Malda) নিজের বাড়ি থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিল অষ্টম শ্রেনির এক নাবালিকার (Minor) দেহ। মৃতার মা এবং বাবা পেশায় আইসক্রিম বিক্রেতা। তাই সেই সময় তাঁরা তাঁদের কাজেই বাড়ির বাইরে ছিলেন। বাড়িতে ছিল নাবালিকা এবং তাঁর ছোটো ভাই। পরিবারের দাবি, নাবালিকার মা-বাবার অনুপস্থিতিতে বাড়িতে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণ করে এবং খুন করে পাশের গ্রামের এক যুবক। পরবর্তীতে অভিযুক্ত যুবক পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে।
এরপরই পুলিশ (Police) অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁরই এক বন্ধুকে আটক করে নাবালিকাকে খুনের অভিযুক্তকে। ফলে খুনের প্রথম অভিযুক্তকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এই ঘটনাকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ (protest) দেখায় এলাকাবাসীরা। রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে পথ অবরোধও করে গ্রামবাসীরা।
পুলিশের (Police) দাবি, তদন্তে জানা গিয়েছে অভিযুক্তের খুনের সাথে যুক্ত নয়। তাই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তাকে। তবে গ্রামবাসীরা এই বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ। এক গ্রামবাসী বলেছেন, “মোট দুজনকে ধরেছিল। একজনকে ছেড়ে দিয়েছে। কেন ছাড়ল? ছোট কোনও কেস হলে তো কোর্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তাহলে মার্ডার কেসের আসামিকে (Accused) থানা থেকে ছাড়ল কেন? তার জন্যই পথ অবরোধ করা হয়েছে।”