খাসখবর ডেস্ক: উত্তপ্ত ত্রিপুরার আঁচ কলকাতাতেও। ত্রিপুরায় তৃণমূলের উপর ‘হামলা’র প্রতিবাদে এদিন বিজেপির রাজ্য দফতরে বিক্ষোভ দলীয় কর্মীদের। প্রায় শতাধিক কর্মী সমর্থকরা এদিন বিক্ষোভ করেন। রীতিমত রাস্তায় বসে ধর্না দেন তাঁরা। এই বিক্ষোভের জেরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
এদিন শতাধিক দলীয় কর্মীরা হাতে পোস্টার, প্ল্যাকার্ড নিয়ে দফতরের সামনে বিক্ষোভে বসে। পাশাপাশি বারংবার ‘খেলা হবে’ শ্লোগান দিতে থাকে। প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে দলীয় কর্মীরা দাবি করেন, এই ভাবে দিনের পর দিন তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে গেরুয়া শিবির। আমরা ওই হামলার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ত্রিপুরায় দিন দিন এই অত্যাচার বেড়েই চলছে। ধিক্কার জানাচ্ছি আমরা।
আরও পড়ুন-Tripura: তিন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীকে রক্ষা করছে মমতার প্রশাসন, বিস্ফোরক বিপ্লব দেব
অন্যদিকে, ত্রিপুরায় ঘটনার প্রতিবাদে জেলায় জেলায় পথে নেমেছে শাসক দলের কর্মী সমর্থকরা। কলকাতার পাশাপাশি বাঁকুড়া, আসানসোল, হুগলিতেও পথে নেমে বিক্ষোভ জানাচ্ছেন তৃণমূলের কর্মীরা। এদিন শতাধিক কর্মীরা বিজেপিকে ধিক্কার জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করছে। আর এই প্রতিবাদ মিছিলের জবাবে পাল্টা পতাকা হাতে পৌঁছালেন বিজেপির কর্মীরাও।
এই বিক্ষোভের খবর পেয়ে ইতমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। ওই দফতরের সামনে ব্যারিকেট করে দেয় পুলিশ। পাশাপাশি পৌঁছায় বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। সেখানে গিয়ে প্রতিবাদ মিছিলের জবাবে পাল্টা পতাকা হাতে নেন বিজেপির কর্মীরাও। বিজেপি কর্মীদের দাবি, তাদের বিজেপি রাজ্য দফতর তৃণমূলের উপস্থিতিতে অশুদ্ধ হয়ে পড়েছে। দফতরকে শুদ্ধ করতে হবে।
উল্লেখ্য, নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই চড়ছে ত্রিপুরার রাজনৈতিক পারদ। বাংলা জয়ের পর থেকেই তৃণমূলের পাখির চোখ ত্রিপুরা। সামনেই পুরভোট ত্রিপুরায়। আর তাই ঘন ঘন পড়শি রাজ্যে হাজির হচ্ছে তৃণমূল নেতৃত্ব। পাঠানো হছে একাধিক বিধায়ককে। আর তা করতে গিয়েই বহুবার আক্রমণেরও হতে হয়েছে রাজ্যের শাসকদলকে। অন্যদিকে ত্রিপুরা জয়ের লক্ষ নিয়ে ইতিমধ্যেই বিপ্লব গড়ে হাজির হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যয়ের।
আরও পড়ুন-Tripura: ‘ত্রিপুরায় কোনও আইন শৃঙ্খলা নেই, জঙ্গলরাজ চলছে’, বিস্ফোরক মন্তব্য অভিষেকের
সূত্রের খবর, সোমবার আগরতলায় পথসভা করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যয়। তবে কোনও র্যালি নয়, পথসভার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। করোনা আবহের কারণে মিছিলে নিষেধাজ্ঞা বহাল প্রশাসনের। এদিকে আগরতলায় নেমে আক্রমণাত্মক অভিষেক। তাঁর দাবি, ‘ত্রিপুরায় কোনও আইন শৃঙ্খলা নেই। জঙ্গলরাজ চলছে এখানে। আমাকে মিছিল করার অনুমতি দেওয়া হয়নি।’ তিনি বলেন, ত্রিপুরাতে সংবাদমাধ্যমের উপরও আক্রমণ করা হয়েছে।
এদিকে, তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষকে গ্রেফতারি নিয়ে সুর চরাচ্ছে তৃণমূল। অভিষেক বলেন, ‘সায়নীকে গ্রেফতার কেন করা হল? যে যাই করুক আমরা মাথা নত করব না। ধমকে চমকে তৃণমূলকে আটকানো যাবে না।’ অন্যদিকে, ত্রিপুরার আঁচ দিল্লিতেও। গতকালের ঘটনার পরই ত্রিপুরা উড়ে গিয়েছেন সৌগত রায়। সেখানে রয়েছেন কুণাল ঘোষ, সুস্মিতা দেব সহ একাধিক তৃণমূল নেতারা। একইসঙ্গে একাধিক তৃণমূল সাংসদ দিল্লিতে ধর্নায় বসতে বসেছে উত্তর-পূর্ব রাজ্যে বিজেপির দলীয় কর্মীদের সহিংসতার প্রতিবাদে। এমনকি তৃণমূল সাংসদরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছেও অ্যাপয়েন্টমেন্ট চেয়েছেন। সব মিলিয়ে রাজনৈতিক পারদ চড়ছে হু হু করে।