‘পুলিশ তো তৃণমূলের লোককে গ্রেফতার করবে না, ওকে ফাঁসিয়ে দিল’- আক্ষেপ ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ারের স্ত্রীর

0
41
Suvendu Adhikari

হরিশ্চন্দ্রপুর: অভিযুক্তদের তালিকায় তৃণমূল নেতাদের নাম থাকলেও তাঁদের গ্রেফতার করেনি পুলিশ৷ উল্টে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ‘খবর’ যাতে প্রকাশ্যে চলে না আসে তাই এক নিরীহ সিভিক ভলেন্টিয়ারকে (Civic Volunteer) গ্রেফতারের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে৷ প্রতিবাদে সরব হয়েছেন গ্রামবাসীরা৷ মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার ঘটনা৷

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর. গত রবিবার রাতে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার বাংরুয়া গ্রাম থেকে উরুস মেলা দেখে ফেরার সময় আক্রান্ত হন দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান তথা তৃণমূল নেতা মোহাম্মদ নজিবুর রহমান। তাকে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠে হরিশ্চন্দ্রপুর ব্লকের প্রাক্তন তৃনমূল সভাপতি হজরত আলির দুই ছেলে এবং হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ সমাউন ইসলাম ও তার দলবলের বিরুদ্ধে। নজিবুর রহমান অভিযোগ করেন, তার কাছ থেকে পদ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়েছিল হজরত আলি। সেই টাকা ফেরত চাওয়ার জন্যই তাকে মারধর করা হয়েছে। এই মুহূর্তে আক্রান্ত তৃণমূল নেতা হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

- Advertisement -

সমগ্র ঘটনায় প্রকাশ্যে এসে পড়ে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। ৮ জনের নামে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ, পুলিশ গ্রেফতার করে শুধুমাত্র এক জনকে,পেশায় সিভিক ভলেন্টিয়ার (Civic Volunteer) দক্ষিণ তালসুর গ্রামের মহিদুর রহমানকে৷ বুধবার চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে। সিভিক ভলেন্টিয়ার মহিদুর প্রাক্তন ব্লক সভাপতি হজরত আলির ভাইয়ের ছেলে। কিন্তু তাঁর স্ত্রী দাবি করেছে, সে কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নয়। রাজনীতির লড়াইয়ে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে তাকে। বাড়িতে রয়েছে বৃদ্ধা মা স্ত্রী এবং নাবালক দুই সন্তান। দিন আনা দিন খাওয়া পরিবার। নিজের কাজ ছাড়া কোনও ঝামেলায় থাকত না সে৷

ন্যায় বিচারের জন্য আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ার স্ত্রীর। স্ত্রী সামিমা খাতুন বলেন, ‘‘আমার স্বামী এই ঘটনায় যুক্ত না। রাজনীতিও করে না। আমাদের গরিব পরিবার। আসলে পুলিশ তো তৃণমূলের লোককে গ্রেফতার করবে না। তাই ওকে ফাঁসিয়ে দিল। ন্যায়বিচার না পেলে আদালতে যাব।’’ একইমত স্থানীয় বাসিন্দাদের৷ তাঁদের অভিযোগ, মহিদুর কোনও ঝামেলাই থাকে না। অভিযুক্তদের তালিকায় হজরত আলির ছেলে এবং সামাউন ইসলাম ও দলবলের নাম রয়েছে। কিন্তু তারা তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত থাকায় গ্রেফতার হচ্ছে না। বদলে নিরীহ এক জনকে গ্রেফতার হতে হচ্ছে। যদিও হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, বাকি অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

সমগ্র ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে, জোর বিতর্ক। বিজেপির খোঁচা, পুলিশ নিরপেক্ষ নয় তৃণমূলের দলদাস। পুলিশ আইন অনুযায়ী পুলিশের কাজ করবে। রাজনীতির সম্পর্ক নেই, পাল্টা দাবি তৃণমূলের। ফলে গ্রেফতারিকে ঘিরে পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে তুঙ্গে উঠেছে এলাকার রাজনৈতিক বিতর্ক।

আরও পড়ুন: শ্রেণিকক্ষের ছাদে ফাটল, ক্লাস নিচ্ছেন মিড ডে মিলের রাঁধুনি

https://play.google.com/store/apps/details?id=app.aartsspl.khaskhobor