মিলন পণ্ডা, মান্দারমণি: সৈকত নগরী মান্দারমণিতে মধুচক্র বন্ধ করতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের নির্দেশে তৎপর মান্দারমণি উপকূল থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতভর মান্দারমণি উপকূল থানার পুলিশ ও জেলা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা অভিযান চালিয়ে হোটেলের মালিক, এজেন্ট ও হোটেলে কর্মী সহ ১১ জনকে গ্রেফতার করল। পাশাপাশি পাঁচ যুবতীকে উদ্ধার করে।
ফের পুলিশ আধিকারিকেরা নতুন করে মান্দারমণিতে আরও একটি হোটেলে হানা দেয়। দেহ ব্যবসা কাজে লিপ্ত পাঁচজন যুবতীকে উদ্ধার করে। তারপরেই হোটেলের ম্যানেজার, মালিক, কর্মী ও এজেন্ট আট জনকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা হল রামনগর থানার ডাণ্ডা বেলবনি গ্রামের রতন শাসমল, কাঁথির ডাউকি অসীম তলা, চণ্ডিপুরে পবিত্র গুড়িয়া, প্রতিবেশী রাজ্য উড়িষ্যায় রঞ্জিত কুমার দাস, জুনপুটে চিরঞ্জিত সাহু, পটাশপুরের সৌরভ মান্না, এগরা জোড়থান গ্রামের মনিন্দ্র নাথ দাস ও রামনগরের রানীওরা গ্রামের চিন্তামণি পঞ্চাধ্যায়ী।
এদিকে গত কয়েকদিন আগে মান্দারমণিতে মধুচক্রের য়ুক্ত থাকার অভিযোগে আরও তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতরা হল কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের চাট্রাভেড়ি গ্রামের তারক নাথ মাইতি, রামনগরের দানিয়া গ্রামের মিলন পঞ্চাধ্যায়ী ও শেখ শাহাজান। যদিও এরআগে পুলিশ হোটেল থেকে ১৩ জনকে গ্রেফতার ও ৬ জন যুবতীকে উদ্ধার করেছিল। তদন্তের কারণে কাঁথি আদালত থেকে তিনজনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালায় মান্দারমণি উপকূল থানার পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে বেশ কয়েকজন যুবকের নামও। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাদের খোঁজে অভিযান চালায় পুলিশ। বিভিন্ন জায়গা থেকে তিন অভিযুক্তকে পাকড়াও করে। অভিযোগ, সৈকত নগরী মান্দারমণিতে কিছু অসাধু হোটেল ব্যবসায়ী রমরমিয়ে চালাচ্ছে দেহ ব্যবসা। মোটা টাকার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন জেলা থেকে তরুণীদের নিয়েছে দেহ ব্যবসার কাজে লিপ্ত করছেন হোটেল মালিকেরা।
বিভিন্ন জেলা থেকে যুবতীদের আনার কাজে একাধিক এজেন্টও রয়েছে। মান্দারমণি বেড়াতে এলেই পর্যটকদের মোটা টাকার বিনিময় হোটেলের রুমে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে তরুণীদের। শুধু তাই নয় পর্যটকদের মোবাইলে একাধিক তরুনীর ছবিও পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এমন অভিযোগ আসার পরও নড়েচড়ে বসে জেলা পুলিশের নির্দেশে মান্দারমনি উপকূল থানার পুলিশ। বুধবার ধৃতদের কাঁথি আদালতে তোলা হয়, উদ্ধার পাঁচ যুবতীর গোপন জবানবন্দি গ্রহন করেন বিচারক৷