শ্রীরামপুর: এখনও হাসপাতালে সঙ্কটজনক অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে দুই শিশু৷ মা-দের চোখের জল বাঁধ মানছে না৷ সেই পোলবা পুলকার দুর্ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ৷ অভিযুক্ত শেখ সামিমকে ছিল পুলকারের মালিক৷ দুর্ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিল সামিম৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তার বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ করেছে অভিভাবকরা৷ ঘটনার পর থেকে ফোন বন্ধ ছিল সামিমের৷ তার খোঁজে চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছিল পুলিশ৷ অবশেষে শুক্রবার পুলিশের জালে ধরা পড়ে অভিযুক্ত পুলকারের মালিক৷ তাকে হুগলি জেলা পুলিশ গ্রেফতার করে৷ অভিযোগ, প্রথমে সামিম পড়ুয়াদের নিজেদের গাড়িতে তুলে নিত৷ তারপর অন্য এক গাড়িতে তুলে দিত৷
প্রসঙ্গত, একটি পুলকার শ্রীরামপুর থেকে চুঁচুড়ার দিকে যাচ্ছিল৷ পড়ুয়ারা চুঁচুড়ার খাদিনামোড়ের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের৷ যাওয়ার পথে পোলবার কামদেবপুরে গাড়িটি নয়ানজুলিতে পড়ে যায়৷ সেই সময় ওই গাড়িটিতে ১৫ জন পড়ুয়া ছিল৷
তাদের নিয়েই নয়ানজুলিতে পড়ে যায় পুলকারটি৷ ঘটনায় চালক সহ পাঁচজন পড়ুয়া গুরুতর জখম হয়৷ এসএসকেএম হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ছয় বছরের এক পড়ুয়ার পাঁজরের চারটি হাড় ভেঙে গিয়েছে৷ এছাড়াও ফুসফুসে প্রচুর পরিমাণ কাদা জল ঢুকে গিয়েছে৷
সেই জল এখন সম্পূর্ণ বার করা সম্ভব হয়নি৷ ছয় বছরের পড়ুয়ার ফুসফুসে ও মস্তিষ্কের অনেক জায়গায় রক্ত জমাট বেঁধে রয়েছে৷ চিকিৎসকদের মতে, শিশুটির শারীরিক যা অবস্থা তাতে কোমায় চলে চাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে৷
তাই শনিবার রাতেই একমো নামে একটি বিশেষ যন্ত্র বসানো হয়েছে৷ এটি মস্তিষ্কে অক্সিজেন চালু রারখতে সাহায্য করবে৷ পাশাপাশি কৃত্রিমভাবে ফুসফুস ও হৃদযন্ত্রে কাজ করবে৷ অন্যদিকে, সাত বছরের আরও এক পড়ুয়ার ছোটো শিরার মাধ্যমে অনেক ওষুধ তাকে দিতে সমস্যা হচ্ছে৷ তাই সেন্ট্রাল লাইনের মাধ্যমে বড় শিরা দিয়ে ওষুধ শরীরে প্রবেশ করা হচ্ছে৷
এই তিন শিশুর চিকিৎসার জন্য চেস্ট মেডিসিন, কার্ডিয়ো-থোরাসিক, পেডিয়াট্রিক সার্জারি, নিউরো সার্জারি, সিসিইউ-সহ সাত বিভাগের চিকিত্সককে নিয়ে সাত সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে৷ আর এক পড়ুয়ারাও অবস্থা আশঙ্কাজনক৷