খাস ডেস্ক: আলুর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় নাজেহাল ক্রেতারা। তবে বর্তমানে আলুর (Potato) দাম কিছুটা কমলেও হাসি নেই সাধারণ মানুষের মুখে। ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, জ্যোতি আলুর দাম কিছুটা কমলেও চন্দ্রমুখী আলুর দাম কমার সম্ভাবনা খুব কম। আলু ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট উঠলেও গত কয়েকদিন বাজারে জোগান ছিল না যথেচ্ছ পরিমাণ আলুর। তাই মাথায় হাত পড়েছিল ব্যবসায়ী সহ সাধারণ মানুষের। তবে শনিবার রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে আলুর জোগান বাড়লেও বহুলাংশে কমেনি দাম। ফলে দুশ্চিন্তায় আছে ক্রেতারা।
শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগণার (South 24 Parganas) খুচরো বাজারগুলিতে আলুর দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এখানের বাজারগুলিতে কয়েকদিন আগে যেখানে জ্যোতি আলুর দাম পৌঁছেছিল ৩৮ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে। শনিবার সেই বাজারগুলিতেই আলুর দাম কমে হয়েছে ৩২ টাকা কেজি। প্রত্যেক কেজিতে প্রায় ছয় থেকে আট টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে। এমনকি চন্দ্রমুখী আলুর দামও কমে হয়েছে ৩৬ থেকে ৩৮ টাকা কেজি। যা কিছুদিন আগেও বিক্রি হচ্ছিল প্রায় ৪৫ টাকা কেজি দরে।
প্রায় একই অবস্থা পশ্চিম বর্ধমানে (Paschim Bardhaman)-ও। শনিবার সেখানের বাজারে জ্যোতি আলু বিক্রি করা হয়েছে ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা কেজি দরে। তবে বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে আসলেও পাড়ার ভিতরের বিভিন্ন দোকানগুলিতে ১ কেজি আলুর দাম নেওয়া হচ্ছে ৩৮ টাকা। পূর্ব বর্ধমানে (Purba Bardhaman) বাজারগুলিতে শনিবার আলু বিক্রি হয়েছে ৩২-৩৫ টাকা কেজি দরে। হাওড়ার (Howrah) বাজারগুলিতে শনিবারে জ্যোতি আলুর দাম ৩৪ থেকে ৩৫ টাকা নেওয়া হচ্ছে। চন্দ্রমুখী আলুর দাম রয়েছে প্রায় ৩৮ থেকে ৪০ টাকা কেজি।
তবে বাঁকুড়ার (Bankura) বাজারগুলিতে মিলেছে ব্যাতিক্রমী দৃশ্য। বাঁকুড়ার আলু ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানকার বাজারে শনিবার পর্যাপ্ত পরিমাণ আলুর জোগান রয়েছে। দামও ফিরেছে প্রায় আগের অবস্থায়। ৩০ টাকা কেজি দরে আলু পাওয়া যাচ্ছে বাঁকুড়ার বাজারগুলিতে। ফলে স্বস্তি পেয়েছে সাধারণ মানুষ। তবে পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) বাজারগুলিতে অভাব দেখা গেছে চন্দ্রমুখী আলুর। সেখানে জ্যোতি আলু পাওয়া যাচ্ছে ৩০ থেকে ৩২ টাকা কেজি দরে।
হুগলির (Hooghly) বাজারে শনিবার আলুর দাম কেজিতে ৩২ টাকা। তবে সেখানে ৫ কেজি আলু কিনলে তা পাওয়া যাচ্ছে ১৫০ টাকায়। তবে পশ্চিম মেদিনীপুরে (Paschim Medinipur) এইদিন আলু বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৩৫ টাকা কেজি দরে। রাজ্যের সমস্ত বাজারে আলুর দাম কমা-বাড়ার মধ্যেও চিন্তায় সাধারণ মানুষেরা। কবে বাজার দর স্বাভাবিক হবে সেই প্রশ্নই ঘুরছে সাধারণ মানুষের মনে।