
সুদেষ্ণা মণ্ডল, মথুরাপুর: রক্ষকই ভক্ষক!. এবার এক গৃহবধূকে ঘর পাইয়ে দেওয়ার অছিলায় বাড়িতে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। চঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে দক্ষিন ২৪ পরগনার মথুরাপুরের পশ্চিম গ্রাম পঞ্চায়েতের তাজপুর গ্রামে। ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য বাপ্পাদিত্য হালদারের বিরুদ্ধে মথুরাপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিত মহিলা ও তার পরিবারের লোকজন।
পুলিশকে লিখিত অভিযোগে নির্যাতিতা বধূ জানান, তাঁর স্বামীকে আবাস যোজনার ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ফোন করে প্রয়োজনীয় নথিপত্র চান তাজপুর গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য বাপ্পাদিত্য হালদার। এরপর দুপুরে নথিপত্র জমা নিতে নিজেই বাড়িতে চলে আসেন৷ নির্যাতিতা মহিলার দাবি, সেই সময় বাড়িতে একাই ছিলেন তিনি৷ আর সেই সুযোগে মহিলাকে জোর করে ধর্ষণ করে তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য৷ এর পরেই মহিলার স্বামী বাড়িতে ফিরলে তার উপর হওয়া অত্যাচারের কথা স্বামীকে জানায়। এরপরই মথুরাপুর থানায় অভিযুক্ত তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার পরিবার৷
সূত্রের খবর, প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মেলায় এরপরই শাসকদলের অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক মহলে জোর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে৷ এই ঘটনায় মথুরাপুর ১ নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মানবেন্দ্র হালদার জানান, ‘‘তাজপুর গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য বাপ্পাদিত্য হালদারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তার সত্যতা যাচাই করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে দল৷ অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।’’
অন্যদিকে ন্যায় বিচার চেয়ে অভিযুক্ত তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের শাস্তির দাবি জানিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ নির্যাতিত মহিলা ও তার পরিবারের লোকজন। ঘটনায় অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্যের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন পঞ্চায়েতের অন্যান্য সদস্যরাও৷ পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্তে সবদিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷