মালদহ: স্ত্রীর পরকীয়ায় বাধা। প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামীকে খুনের অভিযোগ। প্রায় দিন পর সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার স্বামীর বস্তাবন্দী মৃতদেহ। খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু করে মিল্কি ফাঁড়ি ওসি নেতৃত্বে মনিরুল ইসলামের নেতৃত্ব পুলিশ-বাহিনী।
এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদহের ইংরেজবাজারের শোভানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোহনপুর গ্রামে। মৃতের নাম সাদিকুল খান (৩৮)। মোহনপুরের বাসিন্দা পেশায় দিনমজুর সাদিকুল খানের সঙ্গে প্রায় দশ বছর আগে সারেফা বিবির বিয়ে হয়। তাদের এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত প্রেমিক ও মৃতের স্ত্রী।
আরও পড়ুন-TET-এ নয়া জট, আরও কড়া হুঁশিয়ারি জারি হাইকোর্টের
অভিযোগ, গত চার বছর ধরে প্রতিবেশী যুবক নূর আলমের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে সারিফার। এই নিয়ে সাদিকুলের সঙ্গে প্রায়শই ঝামেলা লেগেই থাকত সারিফার। এরপরই প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামীকে খুনের ছক কষে সরিফা। এরপর গত ১০ জানুয়ারি নিখোঁজ হয়ে যান সাদিকুল। কোথাও খুঁজে না পেয়ে ১৬ তারিখ মিল্কি পুলিশ ফাঁড়িতে নিখোঁজ ডায়েরি করে তার পরিবার।
অভিযোগের ভিত্তিতে এরপর তদন্তে নেমে মিল্কি ফাড়ির পুলিশ লালচাঁদ শেখ নামে নূর আলমের এক সঙ্গীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর সারিফা ও নূর আলমকে গ্রেফতার করে মুখোমুখি জেরা করায় বেরিয়ে আসে আসল তথ্য। স্বামীকে খুন করার উদ্দেশ্যে ছক কষে সারিফা ও নূর। এরপর সাদিকুলকে অপহরণ করে গলা কেটে খুন করে নূর ও তার দলবল। এরপর মৃতদেহ বস্তাবন্দী করে ফেলে দেওয়া হয় নূরের আত্মীয়ের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে। শুক্রবার সেখান থেকে দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনায় বাকি জড়িতদের তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের ফাঁসি দাবি করেছে সাদিকুলের পরিবার।
আরও পড়ুন-প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন কারণে ব্যহত ট্রেন পরিষেবা, দুর্ভোগে নিত্যযাত্রীরা
অন্যদিকে, যুবতীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ইংরেজবাজার শহরে। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। মৃত যুবতীর নাম নবনীতা ঘোষ (৩৩)। বাড়ি ইংরেজবাজারের দেশবন্ধু পাড়ায়।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, নবনীতা অনলাইনের মাধ্যমে কাপড়ের ব্যবসা করতেন। ২০১৪ সালে তার বিয়ে হলেও দু’বছরের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। আজ সকালে শোবার ঘর থেকে নবনীতার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। কি কারণে মৃত্যু তা নিয়ে ধন্ধে রয়েছেন পরিবারের লোকজন। নবনীতার মোবাইল থেকে মৃত্যুর কারণ খোঁজার চেষ্টা করছে পুলিশ।