“ওপার বাংলার ইলিশের উপর আর নির্ভরতা নয়”, কেন এই কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী

ডায়মন্ড হারবারে ইলিশ নিয়ে গবেষণা কেন্দ্র করা হয়েছে।

0
28
bangladesh hilsa

কলকাতা: বাংলাদেশের ইলিশের (bangladesh hilsa) উপর নির্ভরতা কমানোর বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বললেন, এ পার বাংলাতেও ইলিশ উৎপাদন হচ্ছে। ডায়মন্ড হারবারে ইলিশ নিয়ে গবেষণা কেন্দ্র করা হয়েছে। সেখানে প্রতিনিয়ত ইলিশের গতিবিধি নিয়ে গবেষণা চলছে। মমতার দাবি, ‘‘আমাদের ওপারের ইলিশের উপর আর নির্ভর করতে হবে না।’’

আরও পড়ুন : টেট প্রসঙ্গে নবান্নে বিশেষ বৈঠক, তবে কি বদল হবে গাইডলাইন

- Advertisement -

মাছে ভাতে বাঙালি। এই চলতি প্রবাদটি যদি একটু পরিবর্তন করে লেখা যায় ইলিশ ভাতে বাঙালি। তাহলে বুঝি খুব একটা আপত্তি কারোর থাকবে না। বর্ষা আসতেই বাজার ছেয়ে যায় ইলিশ মাছে। ইলিশের জোগান কম বেশি যাই থাকুক না কেন দাম যেন আকাশছোঁয়া। বিগত কয়েক বছরে অন্তত এই ছবিটাই দেখা যাচ্ছে। তাই ইচ্ছে থাকলেও ইলিশ মাছ দিয়ে ভাত মেখে খাওয়ার সাধ পূরণ হয় না অনেকের। অপেক্ষায় থাকতে হয় কবে বাংলাদেশ থেকে ট্রাক ভরে ইলিশ বাংলার বাজারে আসবে।

আরও পড়ুন :বিচারপতির নির্দেশে কলকাতা হাইকোর্টে এলেন শিক্ষাসচিব মণীশ জৈন

ইলিশের বহুমূল্যের কারণে বাজারে ঢেলে বিক্রি হয় খোকা ইলিশ। দামেও কম, আবার স্বাদেও পরিণত ইলিশের ছিটেফোঁটা। দুধের সাধ যেন মেটে ঘোলে । এদিকে বেলাগাম খোকা ইলিশ ধরার ফলে ইলিশের বংশবৃদ্ধি ব্যাপক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলে মনে করছেন মৎস্যবিজ্ঞানীরা। ইতিমধ্যেই খোকা ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। কিন্তু বাজারের সেই ছবি কই? এই পরিস্থিতিতে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘কেবল আইন করে খোকা ইলিশ ধরা বন্ধ করা যাবে না। মানুষকে সচেতন করতে হবে।’’

পশ্চিমবঙ্গে নদী-সমুদ্র, খাল-বিলের অভাব নেই। চাষও হচ্ছে ইলিশ মাছের। কিন্তু পদ্মার ইলিশ সেই স্বাদ, গন্ধই যে আলাদা। তবে এদিন মুখ্যমন্ত্রী ইলিশ চাষের মধ্যে দিয়ে কর্ম সংস্থানের দিশা দেখালেন। মাছচাষ নিয়ে মমতা জানান, বাংলায় অনেক জলাশয় রয়েছে। সেখানে দিব্যি মৎস্যচাষ করা যায়। এ জন্য স্বনির্ভর গোষ্ঠী বা পাড়ার ক্লাবগুলোকে দায়িত্ব দেওয়ার নির্দেশ দেন মৎস্যমন্ত্রীকে। তাতে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি বাংলার বাজারে মাছের জোগানও বাড়ানো সম্ভব হবে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের ইলিশের (bangladesh hilsa) উপর একদিকে যেমন নির্ভরতা কমাতে বললেন অন্যদিকে কর্ম সংস্থানের দিশাও দেখালেন। তবে মুখ্যমন্ত্রীর এক ঢিলে দুই পাখি মারার চেষ্টায় ভোজনরসিক বাঙালির রসনাতৃপ্তি কি হবে? উঠছে প্রশ্ন।