পূর্ব মেদিনীপুর: কাজ শেষ করে সাইকেলে করে বাড়ি ফেরার পথে প্রকাশ্য দিবালোকে খুন এক মধ্যবয়স্ক ব্যক্তি। ঘটনাটি সামনে আসার পর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। কেন খুন হতে হল ওই ব্যক্তিকে? তা পরিষ্কার নয় কারোর কাছেই। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তের পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদও শুরু করেছে পুলিশ।
শুক্রবার দুপুর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরে (Purba Medinipur) নন্দীগ্রামের (Nandigram) কাণ্ডপশরা এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তির নাম স্বপন মাইতি, বয়স ৫২। নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের কাণ্ডপসরা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। এইদিন সকালে কাজ শেষ করে সাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। দুপুরে নন্দীগ্রামে টেঙ্গুয়া-বাসুলিচক রাস্তায় হঠাৎই তাঁকে মোটা কাঠ দিয়ে মাথায় আঘাত করে নিতাই দাস নামের প্রতিবেশী এক যুবক। এমনটাই অভিযোগ মৃতের পরিবারের।
এরপরই রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার লুটিয়ে পড়েন স্বপন। স্থানীয় বাসিন্দারা দেখতে পেয়ে ছুটে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করেন। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় নন্দীগ্রাম (Nandigram) সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখানে থাকা চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর দেওয়া হয় নন্দীগ্রাম থানায়। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ বাহিনী। প্রথমে অভিযুক্ত যুবক নিতাই দাসকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হলেও তারপরে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এই ঘটনার পর মৃতের ভাইপো বলেন, “বাড়িতে থাকায় ফোন করে জানায় কাকুর উপর হামলা চালিয়েছে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ভারী কিছু বস্তু দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়েছিল তাঁকে। হাসপাতালে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। যে হামলা চালিয়েছে পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করেছে। কেন হামলা হল তদন্ত চাই।”
ওবিসি মোর্চার বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য তথা প্রত্যক্ষদর্শী মধুসূদন সাহু বলেন, “দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। তখনই দেখি রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার উপর পড়ে রয়েছে৷ দ্রুত নন্দীগ্রাম (Nandigram) হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করি। সেখানেই চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। নন্দীগ্রাম থানার আইসি ও মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। অভিযুক্ত যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।” নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ আধিকারিক বলেছেন, “মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঠিকই কী কারণে এমন কর্মকাণ্ড ঘটালো অভিযুক্ত তা নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।”