টাকার বিনিময়ে চাকরির অভিযোগে এবার তৃণমূলের অন্দরে শুরু কাদা ছোঁড়াছুড়ি

0
33

খাস প্রতিবেদন: তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান বনাম তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি৷ প্রথমজনের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ৷ পাল্টা হিসেবে সভাপতির বিরুদ্ধে পুকুর ভরাটের নালিশ প্রধানের৷ অভিযোগ পাল্টা অভিযোগকে ঘিরে সরগরম উত্তর ২৪ পরগণার কাউগাছি-১ গ্রাম পঞ্চায়েত৷ দলের প্রধান বনাম অঞ্চল সভাপতির এই কাদা ছোঁড়াছুড়ির নেপথ্যে শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দল রয়েছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা৷

তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি স্বপন মণ্ডলের অভিযোগ, ২০ হাজার টাকা করে ১৯ জন মহিলার কাছ থেকে নিয়ে পঞ্চায়েতের সার্ভের কাজে নিয়োগ করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান চৈতালি কর্মকার৷ টাকা দিয়ে কাজ না পেয়ে ভুক্তভোগীরা ইতিমধ্যে বাসুদেব পুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে বলে সূত্রের খবর। যদিও অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধানের পাল্টা দাবি, যারা তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনছে তারা আসলে বিজেপি কর্মী। সেই সঙ্গে তার পাল্টা অভিযোগ “কাউগাছি এক গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি স্বপন মণ্ডল এই সব ঘটনা ঘটাচ্ছে আমার বিরুদ্ধে। আমি কারোর থেকে টাকা নিইনি। বরং এই স্বপন মণ্ডল বেআইনি পুকুর ভরাট করছিল সেটা আমি বাধা দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছি৷ তাই আজ আমার বিরুদ্ধে এসব চক্রান্ত চলছে। আমি আমার উচ্চ নেতৃত্বকে সব জানিয়েছি। এবার তারা তদন্ত করে সব বের করবে।”

- Advertisement -

অপর দিকে অঞ্চল সভাপতি স্বপন মণ্ডল অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা দাবি করেছেন, ‘‘যে পুকুর নিয়ে ভরাটের দাবি করছেন প্রধান, আসলে সেটা পঞ্চায়েত থেকেই ভরাট করা হয়েছিল। প্রধান এটা করাচ্ছিলেন। অভিযোগ ওঠায় পঞ্চায়েতের তরফ থেকেই ওই ময়লা আবার তুলে নেওয়া হয়। আমি সমস্ত বিষয় আমাদের দলের উচ্চ নেতৃত্বকে বলেছি৷ তারা তদন্ত করে দেখবেন। তবে চৈতালি কর্মকার একজন দুর্নীতিগ্রস্ত। ওনাকে দলে না রেখে বহিষ্কার করা উচিত।”

বস্তুত, দুয়ারে পঞ্চায়েত ভোট৷ এমন আবহে প্রধান বনাম অঞ্চল সভাপতির কাদা ছোঁড়াছুঁড়িকে কেন্দ্র করে নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়৷ বিরোধীরা বলছেন, পাপের ফল৷ এবার নিজেদের মধ্যেই লড়াই শুরু হয়েছে শাসকের৷ যত সময় যাবে রাজ্যের গ্রামে গ্রামে এমন আরও ঘটনা সামনে আসবে৷

আরও পড়ুন: জনবহুল শক্তিগড়ে আততায়ীর গুলিতে মৃত্যু কয়লা ব্যবসায়ীর, প্রশ্নের মুখে আইন শৃঙ্খলা