নদিয়া: টিউশন পড়তে গিয়ে নিখোঁজ ছিল পড়ুয়া। আর তারপরই উদ্ধার হল পড়ুয়াটির ঝুলন্ত দেহ। এই ঘটনা জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা এলাকায়। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পরিবারের দাবি, খুন করা হয়েছে তাঁদের ছেলেকে। পুলিশ ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়া (Nadia) জেলার নাকাশিপাড়া (Nakashipara) থানার অন্তর্গত কালীগঞ্জ-পাটিকাবাড়ি এলাকায়। মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার টিউশন পড়তে গিয়েছিল ওই পড়ুয়া। কিন্তু দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও বাড়ি ফিরে না আসায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে পরিবারের সদস্যরা। খোঁজাখুঁজির পরও সন্ধান না পাওয়ায় পুলিশের দ্বারস্থ হয় তাঁরা। এরপরই শুক্রবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা এক বাগানে দেখতে পায় ওই পড়ুয়ায়র ঝুলন্ত দেহ। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় স্থানীয় থানায়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পড়ুয়ার দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায় বেথুয়াডহরি (Bethuadahari) ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত নাবালকের নাম প্রীতম বিশ্বাস, বয়স ১৪ বছর। পাটিকাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনির পড়ুয়া ছিলেন তিনি। পড়ুয়ার আচমকা মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে পরিবার-সহ গোটা এলাকায়। তবে এই ঘটনায় মৃতের পরিবারের দাবি, প্রীতমকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর ফোনে অনলাইন গেম খেলার নেশা ছিল। গেম খেলার সময় কোনো ঝামেলার জেরেই তাঁকে খুন করা হয়েছে।
সমগ্র ঘটনাটি নিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে মৃতের ব্যাগও উদ্ধার করেছে পুলিশ। কৃষ্ণনগরের (Krishnanagar) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেছেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে কিশোরের দেহে বেশ কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। তদন্ত চলছে।’’ মৃত কিশোরের বাবা বলেছেন, ‘‘বাড়ি থেকে ‘পড়তে যাচ্ছি’ বলে বেরিয়েছিল। তারপর আর বাড়ি ফিরল না ছেলে। আমার ছেলে ওইভাবে কখনও আত্মহত্যা করতে পারে না। পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে ওকে খুন করে টাঙিয়ে রাখা হয়েছে। অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করুক পুলিশ।’’