ঋষি গোপাল মণ্ডল, বর্ধমান ঃ টেবিলে থালাভর্তি করে সাজানো খাবারদাবার। এলাহী আয়োজন একেবারে। খাবারের থালা বাটি আবার ফুলের মালা দিয়ে সাজানো। টেবিলের ওপারে এক যুবকের গলায় মালা পড়িয়ে দিচ্ছেন এক ব্যক্তি। তার পরেই সেই যুবকের কপালে ফুল-চন্দন দিয়ে আশীর্বাদ করলেন এক মহিলা ।মাথা ঝুঁকিয়ে তাঁকে প্রণামও করলেন ওই যুবক। পাশ থেকে বাজল শাঁখ।তারপরে প্রসন্ন মুখ খেতে বসলেন ওই যুবক।
যিনি আশীর্বাদ করলেন তিনি হলেন বর্ধমানের এক ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি কাকুলি তা গুপ্ত।পাত্রও সাধারণ কেউ নন, তিনি বর্ধমান-১ ব্লকের বিডিও!হবে নাই বা কেন। এ তো আর বাড়িতে আয়োজিত সাধারণ আইবুড়ো ভাত নয়! এই আইবুড়ো ভাতের আয়োজন করা হয়েছে পঞ্চায়েত সমিতি অফিসের মধ্যে!
এত অবধি সব ঠিকই ছিল। বহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এই ভিডিও দেখেই বোঝা যাচ্ছে, আইবুড়ো ভাতের আয়োজন চলছে। কিন্তু ভিডিওয়তে দেখা গেছে, পিছনে হাসিমুখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি।যেন ছবি থেকে পাত্রকে আশীর্বাদ করছেন তিনিও।
বর্ধমান এক ব্লক তৃণমূলের সভাপতি কাকলী তা গুপ্ত এই ঘটনায় দোষের কিছু দেখছেন না। তিনি বলেন বিরোধীদের কোনও কাজ নেই তাই “খই ভাঁজছেন। অযথা সমালোচনা করছেন।“ অন্যদিকে বিজেপির জেলা সহ সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র ঘটনার নিন্দা করে বলেন, দিকে দিকে এমন ঘটনা চোখে পড়ছে।
তাহলে কি এবার আইবুড়ো ভাতকে কেন্দ্র করে ও রাজনীতির ছোঁয়া? সাধারনত মমতা বন্দোপাধ্যায়ের হাসি মুখের ছবি রাজনৈতিক দল তৃণমূল কর্মীদের অনুপ্রেরণার ছবি। তাহলে এই ছবি কি তৃণমূল কর্মীদের বিয়ের আইবুড়ো ভাতের অনুপ্রেরণার ছবি হয়ে দাঁড়াচ্ছে?নেটিজেন ও বিরোধীদের একাংশ কটাক্ষ করে মজার ছলে এমটাই বলছে।