হাওড়া: একটু লম্বা, ফর্সা চেহারা, কে জানবে ভেতরে এত প্যাঁচ! কেউ ভেবেছিল! হরিদাস পালের মিনিস্টার কোথাকার! ওকে চিনতে ভুল করেছিলাম। ডোমজুড়ে আপনারা গদ্দারকে ভোট দিয়ে জেতাবেন না। ডোমজুড়ের সভা থেকে নাম না করে এভাবেই প্রাক্তন বনমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বলেন, ডোমজুড়ের মানুষের কাছে আমরা ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, গতবার এক গদ্দার মীরজাফরকে প্রার্থী করেছিলাম। সেই গদ্দার মীরজাফর আমায় বলেছিল ওকে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট দেওয়া হোক। মানে আরও ভাল করে নিজের পকেটটা মোটা করবে, বেশি করে কমিশন খাবে। তা করতে পারেনি বলেই গদ্দারি করেছে। মিথ্যা বলার জন্য রাজীবের ক্ষমা চাওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন মমতা।
এদিনের সভার শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন মমতা। বিজেপিকে তোপ দেগে বলেন, টাকা দিয়ে জেতা যায় না। টাকা দিলে, টাকা নিয়ে নিন। ওরা রেল বিক্রি করছে, সেল, এয়ার ইন্ডিয়া বন্ধ করে দিচ্ছে। নোটবন্দির মতো কিছুদিন পর ব্যাংকও বন্ধ করে দেবে। বিজেপি থাকলে সামাজিক নিরাপত্তা থাকবে না। বিজেপিকে হারিয়ে বোল্ড আউট করা হবে।
রাজীবকে নিশানা করে মমতা বলেন, মিথ্যে কথা বলার জন্য ওঁর ক্ষমা চাওয়া উচিত। সব নাকি ও করেছে, তা হলে আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রয়োজন হত না। আমরা উন্নয়ন করেছি বলে ভোট চাইছি। নির্বাচনের পর পড়ুয়ারা সাইকেল পাবে। দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য স্মার্টফোন কেনার টাকা দেওয়া হবে। ১৮ বছরের বেশি বয়সে বিধবা হলেই টাকা পাবেন মহিলারা।
মমতা বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বলছি, কারুর কথা শুনবেন না। না অমিত শাহ, না আমি। শুধু সংবিধানের মেনে চলুন। মা-বোনেদের গায়ে হাত দেওয়ার মতো ভুল কাজ করবেন না। আপনাদের নামে এফআইআর হওয়া কিন্তু ভাল নয়। নরেন্দ্র মোদী ভেঙায় আমায়! ভাল লাগে! ভেঙাক, আমি তো বলি, আরও ভেঙাও। আমার ভোট বাড়বে। আমাকে ভেঙিয়ে কী লাভ! আপনি আপনার মতো! আমি আমার মতো। রাজনীতিতে একটা সৌজন্য জরুরি বলে মন্তব্য করেন মমতা।
রাজীবের সম্পত্তি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ওকে জিজ্ঞাসা করুন কলকাতায় কত জায়গা রয়েছে তোমার? অন্যের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলার আগে সবাইকে বলো, দুবাই থেকে কলকাতা কত সম্পত্তি করেছো। আমি তো এসব জানতামই না। তাহলে আগেই ওকে সরিয়ে দিতাম। সেচ দফতরে থাকাকালীন ওর বিরুদ্ধে টাকা তোলার অভিযোগ পেয়েছিলাম বলেই ওকে সরিয়ে ফরেস্ট ডিপার্টমেন্টে দিয়েছিলাম।