খাসডেস্ক : পরিকল্পনা মতোই রবিবার বিকেলে যাদবপুর থেকে মিছিল বেড়িয়েছিল জুনিয়র চিকিৎসকদের। উদ্দেশ্য, তাঁদের আন্দোলন, দাবি-দাওয়াগুলিকে আরেকবার স্মরণ করিয়ে দেওয়া। তাঁরা যে নিজেদের দাবিতে অনড়, অটুট, সংকল্পবদ্ধ দেখিয়ে দেওয়া আরও একবার। সবই ঠিক ছিল। আচমকা ছন্দপতন। বিচার চাই স্লোগানের মাঝে আচমকা মোড়। এবারও উঠল স্লোগান, তবে মিল খুঁজে পাওয়া গেল না নির্যাতিতার বিচারের দাবির সঙ্গে। শোনা গেল ‘কাশ্মীর মাঙ্গে আজাদি’ (KASMIR MANGE AZADI)। কারা দিলেন এই স্লোগান? জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের সঙ্গে সেই স্লোগানের মিল কোথায়?
আরও পড়ুন:
নাহ। মিল নেই কোন। তাই স্লোগানের বিষয়টি সামনে আসতেই উঠল সমালোচনার ঝড়। শুরু হল দোষারোপ পাল্টা দোষারোপের পালা। যারা শুরু থেকেই জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনে রাজনীতি খোঁজার চেষ্টা করছেন, তাঁদের অভিযোগের ভিত আরও পোক্ত হল। কুণাল ঘোষের মতো তৃণমূল নেতারা অতি বাম রাজনীতিকে দোষালেন। অন্যদিকে বাম নেতারা আজাদি শব্দটির অন্য ব্যাখা দিলেন। বামেদের তোপ দেগে কুণাল বললেন ‘মুখোশের আড়ালে অরাজকতা বন্ধ হোক।’ তৃণমূলের মুখপাত্র কৃশানু মিত্র বলেন, “এই অসভ্যতামোর আন্দোলন, বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনকে আজকে নৈতিক আইনি সমর্থন জানাবার কথা যাঁরা বলছেন, তাঁদেরকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখাতে চাই, তাঁরা কী উদ্দেশ্যে এটা করছেন?” বিজেপির অবস্থান আবার বাম-তৃণমূল উভয়ের বিঁধানোর দিকে। গেরুয়া শিবিরের দাবি আন্দোলনের উদ্দেশ্যকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন:
এদিকে সিপিআইএম নেতা সৃজন ভট্টাচার্য ‘আজাদি’ (AZADI) শব্দের অন্য ব্যাখা দিচ্ছেন। সৃজনদের দাবি আজাদি মানে ‘মুক্তি’। বেকারত্ব থেকে মুক্তি, ধর্ষণ থেকে মুক্তি, মূল্যবৃদ্ধি থেকে মুক্তি। এই ঘটনাটিকে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবেই দেখছেন তাঁরা।