খাসডেস্ক: ৬৬ ঘণ্টা হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর থেকে একনাগারে স্বাস্থ্যভবনের (SWASTHYA BHAWAN) সমানে ধর্নায় বসে রয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। মাঝে তিন তিনবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু প্রতিবারই গিয়েছে ভেস্তে। সূত্রের খবর এবার অচলাবস্থা কাটাতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি লিখলেন জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দল। বৃহস্পতিবার নবান্নের (NABANNA) দোড়গোড়ায় পৌঁছে গিয়েছিল চিকিৎসকদের দল। সরকার পক্ষ থেকে লাইভ টেলিকাস্টিংয়ে রাজি না হওয়ায় ভেস্তে যায় পুরোটাই।
আরও পড়ুন: মূলত ৩ শর্তে জামিন পেলেন কেজরি, জেল থেকে মুক্ত ৬ মাস পর
প্রায় ঘণ্টা দেড়েক টানটান স্নায়ুর উত্তেজনা। নবান্নের সভাঘরে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য অপেক্ষা করছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে নবান্নের বাইরে অপেক্ষারত ছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁরাও অপেক্ষা করছিলেন সরকার পক্ষ থেকে লাইভ টেলিকাস্টিংয়ের অনুমতি পাওয়ার জন্য। কিন্তু হল না শেষ পর্যন্ত। নবান্নে পৌঁছে ছিলেন ৩২ জনের চিকিৎসক দলটি।
আরও পড়ুন:প্রয়াত সীতারাম ইয়েচুরি, ৭২ এ শেষ হল কমরেডের জীবন যুদ্ধ
আলোচনার উদ্যোগ ভেস্তে যাওয়ার পর সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান খোলা মনে আলোচনার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। রাজ্যবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন, তিনদিন পরেও জট না কাটার জন্য। পাশাপাশি যারা নবান্ন (NABANNA) পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিলেন তাঁদেরকেও ক্ষমা করে দেওয়ার কথা বলেন। সাংবাদিক বৈঠক চলাকালিন মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভের সঙ্গে জানান, “আমি পদত্যাগ করতে রাজি। আমাকে অনেক অসম্মান করা হয়েছে। আমার সরকারকে অসম্মান করা হয়েছে। অনেক ভুল বোঝাবুঝি, কুৎসা হয়েছে। কিন্তু ওরা বিচার চায় না। চেয়ার চায়। অনেকেই বৈঠকে আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু বাইরে থেকে সমঝোতা না করার নির্দেশ এসেছে। ” সাংবাদিক বৈঠক করেন জুনিয়র চিকিৎসকরাও। তাঁরা পাল্টা দাবি করেন, “আমরা বিচার চেয়েছি। চেয়ার চাইনি। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যাতে না ঘটে তাঁর নিশ্চয়তা চেয়েছি। গত ৩৩ দিন ধরে রাস্তায়। দরকারে আরও ৩৩ দিন রাস্তায় পড়ে থাকব।“