খাসডেস্ক : আরজি করের ঘটনায় (R G KAR) প্রথমে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক। তারপর মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক। মূলত আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের পাঁচ দফা দাবি ছিল। চতুর্থ ও পঞ্চম দফার দাবি নিয়ে বৈঠক সারেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের সঙ্গে। জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের সঙ্গে হওয়া বৈঠকে রাজ্য সরকারের যে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সেই সেগুলি পূরণ করা হচ্ছে না। প্রতিশ্রুতিগুলি পূরণের দাবি জানিয়ে পুনরায় রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে মেইল করলেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন : সন্দীপ-অভিজিৎকে হেফজতে চাইল না সিবিআই, ৩০ শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল উভয়ের
মেলে তাঁরা মোট সাত দফা দাবির কথা জানিয়েছেন। এই সাত দফা দাবিগুলি হল প্রথমত- সরকারি হাসপাতালে ‘থ্রেট কালচার’ বা হুমকির সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য কেন্দ্রীয় স্তরে অনুসন্ধান কমিটি গঠন। দ্বিতীয়ত- প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারির স্নাতক পড়ুয়া এবং আবাসিক ডাক্তারদের নিয়ে অভ্যন্তরীণ অনুসন্ধান কমিটি গঠন। তৃতীয়ত- মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ছাত্র প্রতিনিধি বেছে নেওয়ার জন্য গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের আয়োজন করা। চতুর্থত- ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিল এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল হেল্থ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের যে সকল সদস্যের বিরুদ্ধে থ্রেট কালচারকে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে রাজ্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন। পঞ্চমত- সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে জুনিয়র ডাক্তার, সিনিয়র ডাক্তার, নার্সিং এবং অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতিনিধিদের নিয়ে টাস্ক ফোর্স কিংবা নজরদার কমিটি গঠন। ষষ্ঠত- কলেজ কাউন্সিল, অভ্যন্তরীণ কমিটি, রোগী কল্যাণ সমিতি, র্যাগিং প্রতিরোধ কমিটিকে পরবর্তী সাতটি কর্মদিবসের মধ্যে সক্রিয় করে তোলা। সেখানে জুনিয়র, সিনিয়র চিকিৎসক, নার্স ও অনান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতিনিধিত্ব থাকা। সপ্তমত- ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্ভিস রুল’ অনুযায়ী চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য স্বচ্ছ এবং যথাযথ বদলি নীতি কার্যকর করা
আরও পড়ুন : কিউসেকের বদলে কুইন্টাল, ধোঁয়া, মিষ্টি দইয়ের পর রচনার নতুন রচনাবলী
৯ ই অগাস্ট আরজি করে (R G KAR) সেমিনার হল থেকে তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধারের পর একটানা ৪২ দিন কর্মবিরতি চালিয়ে ছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। প্রথমে হাসপাতালে হাসপাতালে কর্মবিরতি শুরুর পর স্বাস্থ্যভবনের সামনে তাঁদের আন্দোলন শুরু হয়। অনেক টানাপোড়েন ও স্নায়ুযুদ্ধের পর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে সম্মত হন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এরপর মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক। সূত্রের খবর ওই বৈঠকে ১৫টি বিষয়ে দু’পক্ষ সহমত হয়। এরপর আংশিকভাবে কর্মবিরতি তুলে কাজে ফেরেন চিকিৎসকরা।