
সুন্দরবন: আমপান, ইয়াসের ফলে জেটির একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল৷ পরিদর্শনে এসেছিলেন সরকারিবাবুরা৷ মিলেছিল, সংস্কারের প্রতিশ্রুতি৷ কিন্তু তা আর বাস্তবের মুখ দেখেনি৷ ফলে ভগ্ন জেটি নদীর জলের দাপটে আরও ভগ্ন হয়েছে৷ পরিস্থিতি এমনই যে ভঙ্গুর জেটি হেলে পড়ছে বিদ্যাধরী নদী গর্ভে৷ অথচ উপায়ন্তর না থাকায় সেই জেটি দিয়েই প্রতিদিন যাতায়াত করেন হাজার হাজার মানুষ৷ পরিস্থিতি যা, তাতে যে কোনও মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনার কবলে পড়তে পারেন সুন্দরবনের (Sundarban) প্রান্তিক মানুষেরা। বিছিন্ন হয়ে যেতে পারে যোগাযোগ৷
সুন্দরবনের নেজাট ১ নম্বর ব্লকের গাজী খালি৷ অন্য প্রান্তে বয়ারমারী ১ নম্বর পঞ্চায়েত৷ মাঝখান দিয়ে বয়ে গিয়েছে বিদ্যাধরী নদী। গাজীখালি প্রান্তে রয়েছে প্রায় ৪০ ফুট লম্বা এবং ১০ ফুট চওড়া কংক্রিটের জেটি৷ এই জেটির ওপর দিয়েই নিত্য যাতায়াত করেন সন্দেশখালি দু নম্বর ব্লকের পাঁচটা অঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষ৷ স্কুল ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে অসুস্থ রোগী, স্বাস্থ্যকর্মী, সাধারণ মানুষ সকলেই যাতায়াত করেন। এটা চলাচলের একমাত্র পথ৷
সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়ে সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকের সরবেড়িয়া আগারহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শেখ শাহাজান জানান, তারা সেচ দফতরকে পুরো বিষয়টা জানিয়েছেন। আগামী ২৭ শে আগস্ট রাজ্যের সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকরা নদীবাধ পরিদর্শন করবেন। পাশাপাশি যেসব ক্ষতিগ্রস্ত কংক্রিটের জেটি আছে সরজমিনের খতিয়ে দেখবেন, তারপর প্রয়োজন বুঝে দ্রুত সংস্কার ও পুনঃনির্মাণের কাজ শুরু হবে।
যদিও বাসিন্দারা বলছেন, দীর্ঘ দিন রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে যোগাযোগের একমাত্র জেটির আজ ভগ্নদশা। জীবনে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতে হয় সকলকে। যেখানে জেঠিতে বড় বড় গর্ত৷ নদীগর্ভে হেলে পড়েছে। কংক্রিটের যে স্তম্ভগুলির ওপরে দাঁড়িয়ে রয়েছে জেটিটা, নদীবাঁধের ভাঙনের জন্য ধীরে ধীরে নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে সেই কংক্রিটের ঢালাই স্লাবগুলি। ফলে যেকোনও সময় সুন্বদরবনে (Sundarban) বড় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা দেখছেন মাঝি মোল্লা থেকে শুরু করে সাধারণ নিত্যযাত্রীরা।
আরও পড়ুন: দিদির জমানা: ‘উনি চিলি চিকেন খেতে ভালোবাসেন কিন্তু মুরগি মারার বিরোধী’