জঙ্গিপুর: গত ১৩ অগস্ট কলেজের হোস্টেল থেকে উদ্ধার হয় এক ফার্মাসি পড়ুয়ার নিথর দেহ। গত ১২ অগস্ট রাত থেকে ফোনে না পেয়ে মৃতের পিতা হোস্টেলে এসে দেখতে পান ছেলের ঝুলন্ত দেহ। এই ঘটনায় মৃতের পরিবার প্রশ্ন তুলেছিল তাঁদের ছেলে কি আত্মহত্যা করেছেন নাকি এটি পরিকল্পিত খুন। তবে মৃতদেহ হাতে পাওয়ার পর পরিবারের লোকেরা খুনের অভিযোগ জানাতে চান স্থানীয় থানায়। তবে তা নিতে অস্বীকার করেছে পুলিশ।
এই ঘটনাকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল গোটা কলেজ চত্বরে। ফার্মাসি পড়ুয়ার এই মৃত্যুতে তাঁর পরিবারের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবেই খুন করা হয়েছে তাঁদের ছেলে তহীদকে। তাঁর দেহে মিলেছে একাধিক আঘাতের চিহ্ন। এমনকি চোখেও রক্ত দেখা গিয়েগিল। তাই স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ তা নিতে অস্বীকার করেন। পুলিশ তাঁদের জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর অভিযোগ নেবেন।
মৃতের পরিবার জানিয়েছেন, তহীদ কোনো মানসিক অবসাদে ছিল না। মৃত্যুর আগের দিন রাতে বাড়িতে ফোন করে আমের আচার এবং ছাতু খেতে চেয়েছিলেন সে। আচমকা ফোন বন্ধ পাওয়ায় দুশ্চিন্তা ছিলেন পরিবারের লোকজনেরা। ফলে গত ১৩ অগস্ট তাঁর বাবা কলেজে উপস্থিত হয়ে জানতে পারেন তাঁদের ছেলে মারা গিয়েছে। কিন্তু সেই খবরটা তাঁদের দেওয়াও হয়নি। তাঁদের দাবি, ছেলেকে পরিকল্পিতভাবেই খুন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ অগস্ট মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ফার্মাসি কলেজ হোস্টেল থেকে উদ্ধার হয়েছিল মালদহের (Malda) বাসিন্দা তহীদ করিমের ঝুলন্ত দেহ। তবে এ বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের গাফিলতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মৃতের পরিবার। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছিলেন। তবে এটি আত্মহত্যা নাকি খুন তা নিয়ে এখনও সংশয়ে মৃতের পরিবার।