খাসডেস্ক: সোমবার, ৯ ই সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে উঠেছিল আর জি করে (R G KAR) তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের মামলা। আগামী ১৭ ই সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি। গোটা রাজ্য তথা সারা দেশ তাকিয়ে ছিল মামলার অগ্রগতির দিকে। সংশ্লিষ্ট দিনে সিবিআই (CBI) এর পক্ষ থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন রাখা হয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের সামনে। মৃত তরুণী চিকিৎসকের দেহ ও তার আশপাশ থেকে সংগৃহীত নমুনা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। জানা গিয়েছে, আদালতের সামনে তদন্তকারীরা দাবি করেন ঠিকমতো নমুনা সংরক্ষণ করা তো দুরস্থান, ঘাটতি ছিল নমুনা সংগ্রহের পদ্ধতিতেও।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির দায় ঝাড়তে ১৩ বছর আগে ফিরে গেলেন তৃণমূল সুপ্রিমো
মামলার শুনানির সর্বশেষ দিনে সিবিআই (CBI) নমুনার রিপোর্ট নিশ্চিত করার জন্য এমস এবং কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানোর কথা জানায়। ৯ ই অগাস্ট ঘটনা ঘটলেও জানা যাচ্ছে নমুনা ফরেন্সিক ল্যাবটারিতে পাঠানো হয়েছিল ১৩ অগাস্ট। বলাবাহুল্য ৪ দিন পরেই কলকাতা পুলিশের হাত থেকে তদন্ত যায় সিবিআই এর হাতে। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে তাহলে মাঝে এই তিনদিন কি ঘটেছিল? নমুনা যথাযথভাবে সংগ্রহ করা হয়েছিল কি? মানা হয়েছিল নমুনা সংগ্রহের নিয়ম? এই ধরনের মামলার ক্ষেত্রে অত্যন্ত অভিজ্ঞ ফরেন্সিক আধিকারিকের প্রয়োজন। কারণ নমুনা সংগ্রহের পদ্ধতি ও সংরক্ষণের বিষয়টি সামান্য এদিক-ওদিক হলেই তথ্য বিকৃত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ঘুরে যায় তদন্তের গতি প্রকৃতিও। ঘটনাস্থলে থাকা জামা-কাপড়, বিছানা, দেহ থেকে শারীরিক তরল বা টিস্যুর নমুনা সংগ্রহ এবং উপযুক্ত প্যাকেটবন্দি করার ক্ষেত্রে এক জন ‘বায়োলজিস্ট’-এর ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: ফরেন্সিক রিপোর্ট নিয়েও প্রশ্ন, CBI জানাল শীর্ষ আদালতে
ফরেন্সিক নমুনা সংগ্রহে বিশেষ বিশেষ কয়েকটি নিয়ম আছে। যেমন ঘটনাস্থল থেকে সংগ্রহ করা নমুনা দীর্ঘ দিন ঠিক রাখতে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় রাখার পাশাপাশি সব সময় ‘ইডিটিএ সলিউশন’ দিয়ে রাখতে হয়। না হলে নমুনার বিকৃতি ঘটতে পারে। সংগৃহীত নমুনা কোনও ধরনের প্লাস্টিকের জিনিসে রাখা যায় না। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, এমন অপরাধে রক্তের নমুনাও সংগ্রহ করা হয়। তা করতে ‘কটন গজে’ সংগ্রহ করে সাধারণ তাপমাত্রায় শুকোতে হয়। এক ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞের কথায় নিয়ম অনুযায়ী নমুনা সংগ্রহের পর একটি হ্যান্ডওভার ফর্মফিলাপ করতে হয়। সেখানে ফরেন্সিক আধিকারিক ও তদন্তকারী আধিকারিকের সইয়ের উপস্থিতিতে নমুনাগুলি হ্যান্ডওভার করা হয়। তদন্তকারীরা তা পরীক্ষাগারে না পাঠানো পর্যন্ত নিজেদের হেফাজত বা মালখানায় রাখেন।কোনও ভাবেই সংগ্রহ করা নমুনা ঘটনাস্থল বা আশপাশে রাখা যায় না। তবে এক্ষেত্রে অভিযোগ উঠেছে মাঝের তিন দিন আর জি কর (R G KAR) মেডিক্যাল কলেজেই রেখে দেওয়া হয়েছিল সংগৃহীত নমুনা। নিয়ম না মেনে কলকাতা পুলিশ সংগৃহীত নমুনা কেন নিজেদের হেফাজতে রাখল না উঠছে প্রশ্ন