নেতা হতে আসিনি, কর্মীদের মনোবল বাড়াতে এসেছি: কুণাল

0
194

নিজস্ব সংবাদদাতা, কাঁথি: পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করে জনসংযোগ বাড়াতে চাইছে এরাজ্যের শাসকদল তৃণমূল৷ তাই এবার শুভেন্দু গড়ে গেলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)৷ সেখানে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘পূর্ব মেদিনীপুরে নেতা হতে আসিনি৷ তৃণমূল কর্মীদের মনোবল বাড়াতে এসেছি৷’’

কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের মুকুন্দপুর বাজারে চা পে চর্চা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন কুণাল ঘোষ৷ তৃণমূল কংগ্রেস কুণাল ঘোষকে পূর্ব মেদিনীপুরের বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছেন৷ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর চোখে চোখ রেখে লড়াই করার জন্য এবার দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি৷ এমনটাই শোনা যাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে৷

- Advertisement -

বুধবার সকালে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের পন্থা অবলম্বন করে জনসংযোগ বাড়াতে চা পে চর্চা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তৃণমূল৷ অনুষ্ঠানে কুণাল ঘোষের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কাঁথি সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি তথা কাঁথি পুরসভায় পুরপ্রধান সুপ্রকাশ গিরি, কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তরুণ জানা সহ বাকি তৃণমূল নেতৃত্বরা৷

শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘‘শুভেন্দু অধিকারী সিপিএমের এসফাই করত৷ শুভেন্দু অধিকারী বড় নেতা নয়৷ তাঁকে গালমন্দ করার মূল কারণ একাধিক দফতরের দায়িত্ব ছিলেন৷ তারপরে গাদ্দারি করে অন্যত্র চলে গিয়েছে৷ সেই কারণেই তাঁকে নিয়ে এরকম মন্তব্য করা হয়৷ তাঁকে আমরা ঘৃণা করি৷ বিজেপির উন্নয়ন নিয়ে তো উনি বড় বড় কথা বলেন৷ কিন্তু এবার গুজরাটে ব্রিজ ভাঙা নিয়ে তো শুভেন্দু বা বিজেপি কিছু বলছে না৷’’

এদিন তিনি আরও বলেন, ‘‘মদের লাইসেন্স এখন বন্ধ হয়ে গিয়েছে৷ কেউ যদি আইনসম্মত আবেদন করেন তাহলে তো কিছু করার নেই৷ কাঁথি ও তমলুকে সাংসদকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না৷ শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রামে ঘর ধরে রাখতে পারেনি। ৩৪ জন নন্দীগ্রামে বিজেপি নেতা পাঠিয়েছিলেন৷ মাত্র একজন এখন বিজেপিতে রয়েছে৷ আগে শুভেন্দু অধিকারী যাদেরকে পাত্তা দিত না, এখন তাঁদের সঙ্গে করে নিয়ে চলার চেষ্টা করছেন৷’’

দিলীপ ঘোষকে কটাক্ষ করে কুণাল ঘোষ দাবি করেন, ‘‘দিলীপ ঘোষরা ছোটবেলা থেকে কোন চায়ের দোকানে যাননি৷ হাফ প্যান্ট পড়ে ঘুরে বেরিয়েছেন৷ আমাদের ছোটবেলা থেকে চায়ের দোকানে যাওয়ার অভ্যাস রয়েছে৷ তাঁর নিজের পরিচয়ের অভাব রয়েছে৷ আমি দিলীপ ঘোষকে বলব দুর্নীতি নিয়ে কথা বলার অধিকার আপনার নেই৷ কারণ নারদাতে যাকে টিভিপর্দায় টাকা নিতে দেখা গিয়েছে, সিবিআই অভিযোগের খাতায় যার নাম রয়েছে৷ দিলীপ ঘোষ তাঁকে গ্রেফতারি দাবি জানিয়ে ছিলেন৷ এখন সেই শুভেন্দু অধিকারীর পাশে যারা বসে থাকেন, তাদের কথা বলারই কোন অধিকার নেই৷’’

‘‘গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে যারা ফ্লাইটে করে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন, তারা এখন বলছে একটা টোটো পাঠান তৃণমূলে ফিরে যাবো৷ দিলীপ ঘোষ যখন হাফপ্যান্ট করে ঘুরে বেড়াতেন, তখন থেকে আমি সিপিএমের জামানায় একাধিক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলাম৷ দিলীপ ঘোষরা নতুন এসেছেন তাই কিছুই জানেন না৷’’ বলে দাবি করেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ৷