খাস খবর ডেস্ক: জমা জলে পড়ে মৃত্যুর খবর আগেও এসেছে। তাও প্রশাসনের টনক নড়েন। এবার ফের একবার জমা জল থেকে উদ্ধার হল এক ব্যক্তির দেহ। হাবরা পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তিন নম্বর রেল কলোনির ঘটনা। এই ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
সূত্রের খবর, মৃত বৃদ্ধের নাম প্রশান্ত দাস(৬০)। হাবরা পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তিন নম্বর রেল কলোনির বাসিন্দা ছিলেন তিনি। তিনি বাড়িতে একাই ছিলেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকালেই বাসিন্দারা প্রথমে প্রচন্ড দুর্গন্ধ পান। কোথা থেকে পচা দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে তা খুঁজতে গিয়েই তাঁরা যান বৃদ্ধের বাড়ির কাছে। এরপর খবর দেন হাবরা থানায়। পুলিশের সহযোগিতায়, সোমবার রাতে পুরসভার তরফে পাম্প লাগিয়ে জলমগ্ন এলাকার জল নামানো হয়। জল নামতেই বৃদ্ধের ঘরে জমা জলের মধ্যে থেকে উদ্ধার করা হয় দেহ। মৃতদেহে পচন ধরতেও শুরু করেছিল।
জানা গিয়েছে, ওই বৃদ্ধ প্রচণ্ড নেশা করত। তাই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কোনও ভাবে জলে পড়েই তার মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান পরিবারের। গতবছরও হাবরায় জমা জলে পড়ে একটি ছয় মাসের শিশুর মৃত্যুর খবর সামনে এসেছিল। গতকালের ঘটনার পর ফের পুরসভার জল নিকাশি ব্যবস্থাকে কাঠগড়ায় তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা।
রবিবার হাবড়ার একাধিক জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন হাবারার বিধায়ক তথা রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ঘুরে দেখেন এলাকা। কথা বলেন এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে এবং স্বীকার করেন যে একাংশ মানুষ বেআইনিভাবে খালের উপর নির্মাণ করছেন, যার জেরে জল আটকে যাচ্ছে। পাশাপাশি তিনি বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার অতিবৃষ্টিটা বেশি হয়েছে। পুজোর পরেও বৃষ্টি হয়েছে। গতবারও হাবরার জল বের করে দিয়েছিলাম। কিন্তু অশোকনগরের জলও পড়ছে এখানে। সেই জলও বের করতে হচ্ছে। নদিয়ার জলও এখানে চলে আসছে। একেবারে বাটির মতো অবস্থা।