
নিজস্ব সংবাদদাতা, ব্যারাকপুর: সাদা কাগজে রং করে তার ওপর আর একটি সাদা কাগজে মুড়ে হাতের তালুতে রেখে ঘোড়ালেই নাকি হয়ে যাচ্ছে আর একটি নোট। আর সেই রং কিনতে গেলে দিতে হবে লাখ টাকা। এইভাবে মানুষকে ঠকিয়ে আসছিল দুই প্রতারক।
শুধু তাই নয় ডলার ভাঙিয়ে দেওয়ার নাম করেও প্রতারণা করত তারা। অবশেষে নিউটাউনে এসে ধরা পড়ে গেল দুই প্রতারক। তাদের তারুলিয়া এলাকা থেকে ধরা হয়। ধৃতদের নাম দেবাশীষ মন্ডল ও সৌরভ মল্লিক৷ দুজনে কাছ থেকে উদ্ধার হয় আটটি বিভিন্ন রঙের ছোট বোতল, একটি ছোট স্প্রিটের বোতল, তিনটি ১০০ ডলারের কালার জেরক্স নোট, দুই বান্ডিল ১০০০ টাকার মাপের কাগজ।
পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার তাঁরা খবর পায় তারুলিয়া এলাকায় দুই ব্যক্তি সন্দেহজনক অবস্থায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল। পুলিশ গিয়ে তাদেরকে পরিচয় জানতে চাইলে তারা বলছিল না। এরপরে জিজ্ঞাসাবাদে তারা তাদের পরিচয় জানায়। জানা যায় তারা দুজনে বাসন্তী এলাকার বাসিন্দা৷ জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে নেয় যে তারা নানা পদ্ধতিতে মানুষকে ঠকিয়ে বেড়াতো। দুটি পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে তারা মানুষকে ঠকাত।
প্রথম পদ্ধতি হল, টাকা দিয়ে নতুন টাকা তৈরি করা। নানা রকম রং মিশিয়ে সেই রং লাখ টাকায় বিক্রি করার নামে প্রতারণা। প্রথমে তারা একটি টাকায় আগে থেকে রঙ করে সাদা কাগজে মুরে ব্যাগের মধ্যে রাখতো। এর পর তারা সবার সামনে একটি সাদা কাগজে রঙ করে আর একটি সাদা কাগজে মুড়ে চোখে ধুলো দিয়ে হাতের কারসাজিতে ব্যাগের মধ্যে থাকা আগে থেকেই রাখা রঙ করা টাকা বের করে হাতের তালুতে রেখে ঘোরাত৷ কিছুক্ষণ পরে বলতো দেখো সাদা কাগজ টাকা হয়ে গিয়েছে। এটা করতে গেলে এই রং কিনতে হবে। এই রঙের দাম লাখ টাকা। এই বলে তারা মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করত।
দ্বিতীয় পদ্ধতি হল, ডলার ভাঙনোর নাম করে প্রতারণা৷ প্রতারকরা তাদের সমস্যার কথা বলে মানুষের কাছে বলতো তার কাছে কিছু ডলার আছে সেটি ভাঙাতে চায় অল্প টাকার বিনিময়ে। কেউ রাজি হয়ে গেলে তাদের জেরক্স করা ডলার দিয়ে টাকা নিয়ে পালিয়ে যেত। বৃহস্পতিবার ধৃতদের বারাসত কোর্টে তোলা হয়।