
কাঁথি : আদালতে রক্ষাকবচ পেতে পারেন৷ কিন্তু মানুষের আদালত কোনওদিন শুভেন্দু অধিকারীকে ক্ষমা করবে না! বক্তা, তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার যুব সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি।
ঘটনার সূত্রপাত, নিয়োগ কেলেঙ্কারি কাণ্ডে শুভেন্দুর নাম জড়িয়ে সম্প্রতি বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা ও তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ৷ তারই জেরে শশী ও কুণাসের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা রুজু করেন শুভেন্দুর ভাই সৌমেন্দু৷ ওই প্রসঙ্গেই এবার অধিকারী পরিবারকে পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন অখিল পুত্র সুপ্রকাশ৷
সুপ্রকাশের কথায়, ‘‘শাক দিয়ে কি মাছ ঢাকা যায়! গণতান্ত্রিক দেশে আইনি নোটিস পাঠাতে পারেন। তাতে কিছু আসে যায় না৷’’ এরপরই সুপ্রকাশ দাবি করেন, ‘‘আমি তো বলব, ৫৫ জনের লিস্ট অনেকটাই কম। শুভেন্দু অধিকারী এই জেলায় হাজার হাজার চাকরি বিক্রি করেছেন। গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি থেকে প্রাথমিক স্কুলের চাকরি। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, কাঁথি পুরসভায় বসে বেনিয়ম করে ৩৯০০ জনের চাকরি দিয়েছেন৷’’
বস্তত, নিয়োগ কেলেঙ্কারি কাণ্ডে অবিলম্বে শুভেন্দুকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করার দাবি জানিয়ে সম্প্রতি শশী পাঁজা ও কুণাল ঘোষ দাবি করেছিলেন ৫৫ জনের চাকরি দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তার সবিস্তারে ব্যাখ্যা দেন যুবনেতা সুপ্রকাশ গিরি। সুপ্রকাশের দাবি, ” আমি একটা উদাহরণ দিচ্ছি, ৫৫ জনের নাম বলেছেন আমাদের দলের মুখপাত্ররা। কাঁথি শহরে একটি কমপ্লেক্স রয়েছে নিবেদিতা (২)। সেই কমপ্লেক্সে একটি ফ্ল্যাটে তৎকালীন শুভেন্দু অধিকারীর আনাগোনা থাকতো। সেটা কাঁথির মানুষের সকলেই জানা। সেই ফ্ল্যাটে শুভেন্দু অধিকারী দলীয় বৈঠক করেছেন ও কাজকর্ম করেছেন। সেই ফ্ল্যাটটি যার নামে রেজিস্ট্রেশন রয়েছে, ওই ৫৫ জনের তালিকায় তার নাম রয়েছে। তার মানে কি প্রমাণ হবে তিনি শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী নয়। বহু নাম আছে। ৫৫ তো অনেক কম, কেঁচো খুড়ুন, কেউটে অনেক ভেতরে আছে। হাজার হাজার ছেলে মেয়ের চাকরি বিক্রি করেছে শুভেন্দু অধিকারী এই জেলায়৷’’
একই সঙ্গে শুভেন্দুর ভাই সৌমেন্দুকে কটাক্ষ করে সুপ্রকাশ বলেন, “কলেজের টাকা নয়ছয় করেছে, আদালত থেকে রক্ষাকবচ নিয়েছে। পুরসভার টাকা দুর্নীতি করেছে। আদালতে রক্ষাকবচ নিয়ে এসেছে। মানুষের রক্ষাকবচ কি বলছে? কাঁথির মানুষ জানে, অন্য জেলা থেকে চাকরি কেটে নিয়ে বিক্রি করেছেন শুভেন্দু। আদালতে যান, মানুষের আদালত কোনওদিন ক্ষমা করবে না৷’’ যদিও তৃণমূলের যুবনেতা সুপ্রকাশ গিরির বক্তব্যের প্রেক্ষিতে পাল্টা কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি বিজেপি ও অধিকারী পরিবারের তরফ থেকে৷
আরও পড়ুন: হাটে হাড়ি ভাঙলেন ব্রাত্য, জানিয়ে দিলেন নিয়োগ কেলেঙ্কারির নেপথ্যে কারা