খাসডেস্ক: আর জি করে দুর্নীতি মামলায় সিবিআই এর সঙ্গে জুড়েছে ইডিও। সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ (SANDIP GHOSH) দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন সিবিআই (CBI) এর হাতে। আদতে বেলেঘাটার বাসিন্দা হলেও সম্প্রতি তাঁর একাধিক সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। ক্যানিং, বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ, কোথাও বিলাসবহুল ফার্ম হাউজের মতো বাড়ি কোথাও বা ফ্ল্যাট। সম্প্রতি প্রাক্তন অধ্যক্ষের সম্পর্কে আরও নথি-প্রমাণ জোগাড় করতে বেলেঘাটার বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিল ইডি। এমনকি বাদ যায়নি তাঁর শ্বশুরবাড়ি ও শ্যালিকার বাড়িও।
আরও পড়ুন: ‘অসংবেদনশীল মন্তব্য’, মুখ্যমন্ত্রীর পুজোয় ফেরার ডাক শুনে বললেন নির্যাতিতার বাবা-মা
জানা গিয়েছে ছানবিন চলাকালিন সন্দীপের একটি ল্যাপটপ হাতে লাগে তদন্তকারী আধিকারিকদের। সূত্রের খবর ল্যাপটপে থাকা এক্সেল শিটে ভর্তি টাকা-পয়সার হিসেব। টেন্ডার সংক্রান্ত নথিও রয়েছে ল্যাপটপে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, আরজি কর মামলার তদন্তে ইডি-র মোক্ষম অস্ত্র হতে পারে এই ল্যাপটপই। ইতিমধ্যেই সেটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তবে সন্দীপ ঘোষের বেলেঘাটার বাড়ি থেকে নয়। তদন্তকারীরা সেটি উদ্ধার করেছেন সন্দীপের এক আত্মীয়ার বাড়ি থেকে। তবে গুরুত্বপূর্ণ নথি মুছে ফেলার আশঙ্কাও রয়ে যাচ্ছে। সূত্রের খবর সেইসব কিছু খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন সীতারাম, তবে বিপদমুক্ত নন আপাতত
২০২১ সালে আর জি করের অধ্যক্ষের পদে বহাল হন সন্দীপ ঘোষ (SANDIP GHOSH)। এরপর একাধিকবার তাঁকে বদলি করা সত্ত্বেও অল্প কিছু দিনের মধ্যে তিনি ফিরে আসতেন আর জি করেই। বলা হত ভূমিকম্প হলেও সন্দীপ ঘোষের চেয়ার নড়ে না। সন্দীপের অধ্যক্ষের পদে থাকাকালীন একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনেন। বিভিন্ন সময়ে সে সব অভিযোগ সামনে এলেও তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর পর অভিযোগ আরও জোরাল হয়, নতুন করে মামলাও হয় কলকাতা হাইকোর্টে। বর্তমানে সিবিআই হেফাজতেই রয়েছেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ।