খাসডেস্ক: ক্রমাহত জল ছাড়ছে ডিভিসি (DVC) । মঙ্গল ও বুধবারের পর আজ, বৃহস্পতিবারও জল ছাড়ল দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন। এদিন মোট ৮০ হাজার কিউসেক জল ছাড়ার কথা জানায় ডিভিসি। ডিভিসি নতুন করে জল ছাড়ার ফলে দক্ষিণবঙ্গের হাওড়া ও হুগলি জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ডিভিসি তার দেওয়া বিবৃতিতে জানায়, আবহাওয়ার অবনতির কারণে জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় পাঞ্চেত ও মাইথন জলাধারের উপর চাপ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে পাঞ্চেত থেকে ৭০ হাজার কিউসেক ও মাইথন থেকে ১০ হাজার কিউসেক জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিতর্কে জড়িয়ে শেষমেষ নিজের নাম ছাঁটতে বাধ্য হয়েছিলেন দিল্লির ভাবী মুখ্যমন্ত্রী অতিশী
নিম্নচাপের জেরে একটানা বৃষ্টির পর বাংলা আপাতত দুর্যোগমুক্ত। অন্যদিকে পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডে চলছে বৃষ্টি। যার জেরে মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধারের উপর চাপ বাড়ছে। গত দুদিনে প্রায় সাড়ে তিনলক্ষ কিউসেকের জল ছাড়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট দুই বাঁধ থেকে। বুধবার হুগলির পুড়শুড়ায় পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে যান পশ্চিম মেদিনীপুরে। প্রশাসনিক আধিকারিকদের উপস্থিতিতে বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তিনি। এই বন্যাকে ম্যান মেড বলে অভিহিত করেন।
আরও পড়ুন: ‘পুরনো ব্যাধি’ চাক্ষুষ করলেন মমতা , বললেন সবটাই ‘পরিকল্পনা’
বেশি মাত্রায় জল ছাড়া হলে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জায়গা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে পূর্ব বর্ধমান, হাওড়া এবং হুগলির খানাকুল, আরামবাগ-সহ দামোদরের তীরবর্তী এলাকাগুলি জলমগ্ন হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, ‘‘সাড়ে তিন লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে ডিভিসি (DVC) থেকে। আমি নিজে ডিভিসির (DVC) সঙ্গে কথা বলেছি। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। এত জল এর আগে ছাড়া হয়নি।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘যখন ৭০-৮০ শতাংশ জল ভরে যায়, তখন কেন জল ছাড়ে না ডিভিসি? মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ‘‘পরিকল্পিত ভাবে বাংলাকে ডুবিয়েছে।’’