খাসডেস্ক: দিন কয়েক ধরে বাংলার বিস্তৃর্ণ অঞ্চলে একটানা বৃষ্টি। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় আবহাওয়ার উন্নতি হয়েছে অনেকটাই। মেঘ কেটে উঠেছে রোদ্দুর। তবু দুর্গাপুজোর মুখে বাংলায় প্লাবনের আশঙ্কা কমছে না, বরং বাড়ছে। বুধবার সকালে পাঞ্চেত ও মাইথন জলাধার থেকে জল ছাড়ল ডিভিসি (DVC)। মাইথন জলাধার থেকে জল ছাড়ার পরিমান গতকালের থেকে অনেকটা কম হলেও পাঞ্চেত জলাধার থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ লক্ষাধিক কিউসেক। এদিন মাইথন থেকে ৪০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। মঙ্গলবার মাইথন জলাধার থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ ছিল ১ লক্ষ ৬০ হাজার কিউসেক। অর্থাৎ ১ লক্ষ ২০ হাজার কিউসেক কম জল ছাড়া হল মাইথন থেকে। একদিকে মাইথন জলাধার থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ যেমন কমেছে উল্টোদিকে পাঞ্চেত জলাধার থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ বেড়েছে। পাঞ্চেত থেকে জল ছাড়ার ১ লক্ষ ৩০ হাজার হাজার কিউসেক।
আরও পড়ুন : ১ অক্টোবর পর্যন্ত বুলডোজারের চাকায় বেড়ি, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আপাতত থামতে হবে ‘বুলডোজার বাবাকে’
এই দু’টি জলাধার থেকেই জল ছাড়া হলে, তা দামোদর নদ বেয়ে পৌঁছয় পশ্চিম বর্ধমানের দামোদর ব্যারাজে। জলের চাপ বাড়তে থাকলে সেখান থেকে বুধবার জল ছাড়ার পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। ডিভিসি (DVC) জল ছাড়ার মাত্রা বাড়ালে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা। বিশেষ করে বর্ধমান, হাওড়া এবং হুগলির খানাকুল, আরামবাগ-সহ দামোদরের তীরবর্তী এলাকাগুলি প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
আরও পড়ুন: বিনীতের বদলে মনোজ, ADG, IG, DC, CP, SP -র মতো একাধিক ‘ভারী’ পদ সামলেছেন নয়া সিপি
বাংলায় তো বৃষ্টির পরিমাণ কমেছে। তবে জল ছাড়ছে কেন ডিভিসি (DVC)। জানা গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ কমলেও ঝাড়খণ্ডে একটানা বৃষ্টি চলছে। সেই বৃষ্টির পরিমাণ যদি আরও বাড়ে, তবে ডিভিসি থেকে আরও জল ছাড়া হতে পারে। প্রসঙ্গত, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জায়গা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের সঙ্গে ইতিমধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন মমতা।