
নিজস্ব সংবাদদাতা, এগরা: দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে উন্নয়ন হয়নি কোন এলাকায়। দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে গিয়ে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন দিদির দূত-রা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি করেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ১ ব্লকের পাঁচরোল গ্রাম পঞ্চায়েতের বিলবড়া গ্রামে৷ এই ঘটনায় কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধী দল বিজেপি। ঘটনার পর রীতিমতো উত্তেজনা ছড়িয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এগরায়। যদিও এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।
ঘটনার সূত্রপাত, মঙ্গলবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ১ ব্লকের পাঁচরোল গ্রাম পঞ্চায়েতের দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে যান এগরা বিধায়ক তরুণ কুমার মাইতি। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এগরা ১ ব্লকের পাঁচরোল গ্রামের একাধিক কর্মসূচি করেন এগরা বিধায়ক তরুণ কুমার মাইতি। এদিন বিকালে এগরায় পাঁচরোল গ্রাম পঞ্চায়েতের বিলবড়া গ্রামের কর্মসূচিতে যান পাঁচরোল অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি অশোক দাস। তখনই গ্রামবাসীরা তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি অশোক দাসকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। পাশাপাশি এগরায় বিধায়ক তরুণ কুমার মাইতিকে কাছে পেয়ে খুব উগড়ে দেন গ্রামবাসীরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘ বেশ কয়েক বছর ধরে পাঁচরোল গ্রাম পঞ্চায়েতের বিলবড়া, বাহিয়া গ্রামের রাস্তাঘাটের অবস্থা খুবই শোচনীয়। স্থানীয় পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসনের কাছে বহুবার দরবার করেও মেলেনি সুরাহা বলে দাবি স্থানীয় এলাকার বাসিন্দাদের। রাস্তাঘাট হয়নি কেন?
আরও পড়ুন-ফের অস্ত্রোপচার যশপ্রীত বুমরাহ্’র, বাড়ছে উদ্বেগ
বিক্ষেভকারী স্থানীয় বাসিন্দা সুবোধ মাইতি বলেন, “আমাদের দাবি হচ্ছে রাস্তা। আমাদের বিরোধীকে বেশি প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। আমাদের কাজগুলোকে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে কোন রাস্তা হয়নি। রাস্তা না হলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনের আমার হুঁশিয়ারি দেন।”
এগরার বিধায়ক তরুণ কুমার মাইতি বলেন, “গ্রামবাসীরা কোন বিক্ষোভ দেখান নি। তারা তাদের অভাব ও অভিযোগের কথা জানাচ্ছেন। আমরা তা শুনছি। মানুষের কাছে যাবো, কি অসুবিধা আছে শুনবো। সেটা মেটানোর চেষ্টা করবো। এইজন্যই তো ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’। আমি তো কথাও ক্ষোভ-বিক্ষোভ দেখিনি। তবে স্থানীয় বিধায়কের অশ্বাস, অবিলম্বে আমরা রাস্তাঘাট করে দেবো।”
কিন্তু তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি গেরুয়া শিবির। কাঁথি সাংগঠনিক বিজেপি জেলা সভাপতি সুদাম পণ্ডিত বলেন, “মানুষ পশ্চিমবঙ্গের এই সরকারকে কোনভাবেই মেনে নিতে পারছে না। তাই শাসকদলের বিধায়ক, পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষরা যেখানেই যাচ্ছেন সেখানেই তাড়া খাচ্ছেন। সরকার কথা দিয়েও কোনভাবেই এলাকায় উন্নয়ন করতে পারছে না। সমস্ত প্রকল্পর এখানে কারচুপি হচ্ছে। তাই আজকে এখানে তারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। এভাবে দিনের পর দিন মানুষ আরও ক্ষোভে ফেটে পড়বেন। মানুষ নিশ্চিত হয়ে গেছে তৃণমূলের যাওয়ার সময় এসে গিয়েছে।”