শ্যামল নন্দী, বারাসাতঃ হকার উচ্ছেদ নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য। এরই মধ্যে এদিন বারাসাত ফ্লাইওভারের নিচে হকারদের ডিমারকেশন (Demarcation) অর্থাৎ সীমানা নির্ধারণ করে দেওয়া হল বারাসাত পৌরসভার উদ্যোগে। বারাসাত শহরের চাঁপাডালি থেকে কলোনি মোড় পর্যন্ত রেল লাইনের উপর দিয়ে যে উড়ালপুল রয়েছে তার নিচে নিত্য হকারের মেলা বসে কার্যত। যার ফলে সমস্যায় পড়েন এলাকার মানুষজন। পাশাপাশি এম্বুলেন্স থেকে ফায়ার ব্রিগেড কোনও কিছুই একবারে ঢুকতে পারে না।
আরও পড়ুনঃ টাকা ফেললে মিলছে অস্ত্র? বাংলা যেন দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য! প্রশ্নের মুখে আইনশৃঙ্খলা
যে কারণে এলাকায় হকার উচ্ছেদের দাবি দীর্ঘদিন ধরেই ছিল। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হকার উচ্ছেদের প্রসঙ্গ সামনে আনায় এটি আরও জোরালো হয়। শেষপর্যন্ত এদিন বারাসাত পৌরসভার চেয়ারম্যান অশনি মুখার্জি, CIC pwd অরুণ ভৌমিক থেকে এসডিও সকলের উপস্থিতিতে হকারদের লোকেশনের এলাকার ডিমারকেশন (Demarcation) করে দেওয়া হল। হলুদ দাগ দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হল যে এই দাগের বাইরে আর কোনও হকারই দোকান বসাতে পারবেন না। এতে এলাকার সাধারণ মানুষ চলাচলের রাস্তা ফিরে পাবে বলে মনে করছেন বারাসাত পৌরসভার চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায়।
এদিকে এই ডিমারকেশনে (Demarcation) সাধারণ দোকানদাররাও কিন্তু অখুশি নন। তাঁরাও চাইছেন নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকতে। হকারদের বক্তব্য, তাঁরা যদি ঠিকঠাক জায়গা পেয়ে যান কিংবা একটু কম জায়গাও পান তাতে অসুবিধা নেই। কোনওমতে দোকান চালিয়ে ব্যবসা করতে পারলেই হল। যদিও পুরসভা যেভাবে ভাবছে তাতে সাধারণ হকাররা আপাতদৃষ্টিতে খুশি হলেও বাস্তবে সেটা আদৌ সহজ হবে কিনা তা এখনই বলা যাচ্ছে না। এদিকে বারাসাত পৌরসভার চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন বারাসাত ফ্লাইওভার বাম আমলে তৈরি হওয়া ব্রিজ। তাঁরা এটা নিয়ন্ত্রণ করেননি শুরু থেকে।
খাস খবর ফেসবুক পেজের লিংক: https://www.facebook.com/share/5eGwbh7XqkKR1mRr/?mibextid=qi2Omg
তাঁর কথায়, “পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সকল পৌরসভার পৌরপ্রধানকে অনুরোধ, মানুষের পথচলার অধিকার ফেরত দিতে হবে। বাম আমলে যখন এই ফ্লাইওভারে তৈরি হয়েছিল, আমাদের প্রয়াত বিধায়াক গোপাল মুখার্জি এর বিরোধিতা করে বলেছিলেন, ফ্লাইওভার হলে বারাসাত দ্বিধাবিভক্ত হবে। কিন্তু সে সময় তাঁর কথায় কেউ কর্ণপাত করেননি। সেটাই হয়েছে। বারাসাত দ্বিধাবিভক্ত হল এবং বারাসাত ব্যবসায়ীকূল ব্যবসা হারালেন।” যোগ করেন, “ফ্লাইওভার হওয়ার ফলে তার নিচে দোকান দিয়ে অনেকে ব্যবসা করতে লাগলেন। কিন্তু এর ফলে সমস্যায় পড়লেন সাধারণ মানুষ। তবে হকারদের নিজস্ব একটা মার্কেট আছে। ফলে তাঁদের জন্যও ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুবিন্যস্তভাবে দোকান দিতে পারেন।”