খাস ডেস্ক: এবার নতুন বছরের দুই সপ্তাহ পার করার পর কমতে শুরু করেছে মরসুমী শাক-সবজির দাম। টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপির দর এখন অনেকটাই পড়েছে। পাশাপাশি সস্তা হয়েছে মুরগির মাংস। তবে এখনও মাছের দামটা অপরিবর্তিতই রয়েছে। চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক আজকে কলকাতায় কত যাচ্ছে মাছ, মাংস, শাক-সবজির বাজার দর। (স্থানীয় বাজার দরে সামান্য হের ফের হতে পারে)।
জ্যোতি আলু ১৪-১৫ টাকা প্রতি কিলো (পাইকারি বাজার দর প্রতি কিলো ১০-১২ টাকা), চন্দ্রমুখী আলু ১৬-১৮ টাকা কিলো (পাইকারি বাজার দর প্রতি কিলো ১২-১৪ টাকা), নতুন আলু ২০ টাকা কিলো। পেঁয়াজ প্রতি কিলো ৪০-৪৫ টাকা (পাইকারি বাজার দর প্রতি কিলো ৩৫-৪০ টাকা), আদা প্রতি কিলো ৭০-৮০ টাকা, কাঁচালঙ্কা প্রতি কিলো ৮০-১০০ টাকা।
আরও পড়ুন-Weather Update: উধাও শীত, আজ কোন কোন জেলায় হবে বৃষ্টি, জেনে নিন
লাউ প্রতি কিলো ২৫-৩০ টাকা, কুমড়ো প্রতি কিলো ২০-৩০ টাকা, পেঁপে ২০-৩০ টাকা কিলো, ফুলকপি প্রতি পিস ১৮-২০ টাকা, বাঁধাকপি ২৫-৩০ টাকা কিলো, শসা ৫০ টাকা কিলো, ধনেপাতা ১২০ টাকা কিলো, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা প্রতি কিলো।
গাঁটি কচু ৩০ টাকা কিলো, মুলো ২৫-৩০ টাকা কিলো, গাজর প্রতি কিলো ৩০-৪০ টাকা, টমেটো প্রতি কিলো ৪০ টাকা, উচ্ছে প্রতি কিলো ৫০ টাকা,লাল শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউশাক ১৫-২০ টাকা আঁটি, পালং ২০ টাকা আঁটি।
এদিকে মাছ ও মাংসের দাম কার্যত আকাশছোঁয়া। তেলাপিয়া মাছ প্রতি কেজি ১৮০-২০০ টাকা, ট্যাংরা মাছ ২০০-২২০ টাকা কেজি, ভোলা মাছ প্রতি কেজি ১৮০-২০০ টাকা, পার্শে ২৫০-৩৫০ টাকা, মৌরোলা ৪০০ টাকা, পাবদা ৩০০-৪০০ টাকা, গলদা চিংড়ি প্রতি কেজি ৪০০-৪৫০ টাকা, বাগদা চিংড়ি প্রতি কেজি ৫৫০-৭০০ টাকা।
আরও পড়ুন-Horoscope: শনিতে রয়েছে একাধিক রাশির কর্মযোগের সম্ভাবনা, দেখে নিন শনিবারের রাশিফল
রুই মাছ প্রতি কেজি ২৫০-৩০০ টাকা, কাতলা মাছ প্রতি কেজি ৩০০-৩৫০ টাকা, ভেটকি মাছ প্রতি কেজি ৪৫০-৫০০ টাকা, ৬০০ গ্ৰাম থেকে প্রায় ১ কেজি ওজনের ইলিশের দাম ৬০০-৮৫০ টাকা কেজি। এছাড়াও মুরগির মাংস (গোটা) প্রতি কেজি ১১০-১২৫ টাকা, মুরগির মাংস (কাটা) প্রতি কেজি ১৫০-১৭০ টাকা, পাঁঠা / খাসির মাংস প্রতি কেজি ৬২০-৭০০ টাকা।
প্রসঙ্গত, এবছর শাক-সবজির দাম এখনও সে ভাবে কমেনি। অধিকাংশ মরসুমী সবজি বেশ চড়া দামে বিকোচ্ছে। একশো টাকারও বেশি কেজি দরেও বিক্রি হয়েছে ঢ্যাঁড়স, পটল। একদিকে করোনা, অন্যদিকে অকাল বৃষ্টি। করোনার জেরে প্রতিদিনের জায়গায় সপ্তাহে তিন-চার দিন করে বসছে বাজার। আবার রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছিল অকাল বৃষ্টি। শীতে সবজির দাম কমার জায়গায় একাধিক কারণে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছিল শাক-সবজি।