
সুদেষ্ণা মণ্ডল, ডায়মন্ডহারবার: পেরিয়ে গিয়েছে প্রায় ৩৮ ঘণ্টা। এখনও হদিস মেলেনি ডায়মন্ড হারবার জেটি ঘাট থেকে হুগলি নদীতে তলিয়ে যাওয়া ২ শিশু কন্যার। তাদের খোঁজে স্পিডবোট ও ডুবুরি, ড্রোন দিয়ে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে নদীতে। নিখোঁজ দুই শিশু কন্যার নাম আতিফা পারভিন (৬) ও সীতারা নাজ (৮)৷
রবিবার ডায়মন্ড হারবারে তাঁরা পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাতে এসেছিল৷ সন্ধেয় কুঁকড়াহাটি থেকে ভেসেলে ডায়মন্ড হারবার জেটি ঘাটের উদ্দেশে রওনা হয় তারা। সন্ধ্যেয় ভেসেল পৌঁছয় ডায়মন্ড হারবার জেটি ঘাটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই ভেসেলটি যেখানে নোঙর করা হয় তার সামনে রাখা ছিল আরেকটি ভেসেল। তাতেই ঘটে দুর্ঘটনা। দুটি ভেসেলের মাঝে ফাঁক ছিল। কিন্তু নামার সময় তা খেয়াল করেনি ওই দুই বোন। ফলে ফাঁক দিয়ে গলে পড়ে যায় নদীতে। রাতেই শুরু হয় তল্লাশি। জেটি ঘাটে যান খোদ এসডিও। সোমবার সারাদিন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়।
দুই শিশুকে উদ্ধারের জন্য সোমবার বিকেলে এসে পৌঁছয় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১১ সদস্যের একটি দল। বিকেল থেকেই তল্লাশি অভিযানে নেমে পড়ে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। কিন্তু খোঁজ মেলেনি হুগলি নদীতে তলিয়ে যাওয়া দুই শিশুর। পরিবারের লোকজনেরা দুশ্চিন্তায় হুগলির নদীর তীরে ভিড় জমিয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই আবারও তল্লাশি অভিযান শুরু করে দিয়েছে পুলিশ। দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি চালালেও হদিশ মেলেনি তাদের। কাকদ্বীপ থেকে নিয়ে আসা হয়েছে ডুবুরির দল। আকাশে ওড়ানো হয়েছে ড্রোন। কিন্তু শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, নিখোঁজদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
ডায়মন্ড হারবার পুরসভা জেটিঘাট পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে। ফলে এই দুর্ঘটনায় পুরসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা পুরসভার বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে। জেটিঘাটে কোনও সিসি ক্যামেরা বা পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা কেন করা হয়নি সে প্রশ্নও উঠেছে। ভেসেল থেকে জেটিতে ওঠানামার সময় যাত্রী নিরাপত্তায় পুরসভার পক্ষ থেকে কোনও নজরদারির ব্যবস্থা নেই বলেও অভিযোগ এলাকার বাসিন্দাদের।
আরও পড়ুন: ভাঙড়ে উলোট পুরাণ, তৃণমূলের মিছিল থেকে স্লোগান উঠল, ‘তৃণমূল সরকার, আর নেই দরকার’